গত ৯ জানুয়ারী এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি শাখার এক নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুসারে ব্যবসায়ী পর্যায়ের ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে । সুপারশপগুলোর ক্ষেত্রেও এই হার প্রযোজ্য হবে বলে জানানো হয় ।
এরপর সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং সুপারমার্কেটের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)-এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনায় ভ্যাটের হার কমানোর জন্য অনুরোধ করেন। এ বিষয়ে সুপারশপের প্রতিনিধিগন তিনটি সুনির্দিষ্ট ক্রেতাবান্ধব প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।
[35021]
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ প্রস্তাবগুলি বিবেচনায় নেন এবং তাঁরা ভ্যাটের যে আদর্শ পদ্ধতি রয়েছে তা অনুসরণের পরামর্শ দেন। তাঁরা বলেন ভ্যাটের স্বাভাবিক নিয়ম হচ্ছে ১৫% মূসক পরিশোধ করে ক্রয়ের ওপর রেয়াত গ্রহণ করা।
সেই নীতি অনুসারে সুপারশপগুলো যদি ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট পরিশোধ করে, তাহলে তারা অন্যান্য নিয়ম মেনে সহজেই ভ্যাট রেয়াত নিতে পারবে। এই পদ্ধতিতে ক্রেতাদের বাজার করার পর সেই অতিরিক্ত ৫ % বা বর্তমানে কার্যকর ৭.৫% ভ্যাট আর দিতে হবে না । পণ্য মূল্যের মধ্যেই ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকবে । এটির বাস্তবায়নে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে , তা দুপক্ষ আলোচনা করে নিরসনের জন্য সম্মত হন ।
[35018]
এ প্রসঙ্গে স্বপ্ন`র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাব্বির হাসান নাসির বলেন, দেশের সার্বিক অর্থনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপটে মধ্যবিত্ত-নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলি বিশাল চাপের মধ্যে আছে । আমি মনে করি, ন্যায্যমূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে মর্যাদার সাথে নিরাপদ, পুষ্টিমানসম্মত খাদ্য ও অনান্য নিত্যপণ্য কেনার অধিকার আপামর জনগণ সবার। আগে ৫ % যে ভ্যাট ছিল সুপারশপে, সেটা সবার জন্য বাড়তি একটা খরচ ছিল। এখন সেই অতিরিক্ত খরচ আর থাকবে না।
আশা করছি, এতে করে বাজার ব্যবস্থায় একটা সমতা আসবে। সাব্বির নাসির আরও বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, এনবিআর এবং সরকারের উচ্চ পর্যায়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা ভ্যাট বৈষম্যের বিষয়টি অনুধাবন করতে সক্ষম হয়েছেন। স্বপ্নে এখন থেকে ক্রেতাদের সেই ৫% ভ্যাট দিতে হবে না। এ সাফল্য আপনার, আমার, আমাদের, সবার, সারা দেশের । `কষ্টের টাকায় শ্রেষ্ঠ বাজার`-এই স্লোগান এখন যথার্থভাবে বাস্তবায়ন হতে চলেছে ।