ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় চলমান প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এলওসি প্রকল্পগুলো বন্ধ হবে না। অর্থনীতির জন্য প্রকল্প নেওয়া হয়, কিন্তু ক্যান্সেল করা খুবই সেনসেটিভ ব্যাপার। এ ব্যাপারে আমি যথেষ্ট যত্নবান। চট করে ক্যান্সেল করে দেবো না।
বুধবার (৫ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
ভারতীয় এলওসির আওতায় প্রকল্পগুলোর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এলওসি নির্দিষ্ট একটি দেশ থেকে আসে, এবং দেরি হওয়া মানেই প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত নয়। এগুলো প্রয়োজনীয় প্রকল্প, তাই আমরা এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কয়েকটি প্রকল্পের অগ্রগতি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, তবে আপাতত কোনো প্রকল্প বন্ধ করার পরিকল্পনা নেই। এখানে অর্থনৈতিক দিক ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ও রয়েছে, যা বিবেচনায় রাখা জরুরি।
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ নয়। ব্যবসায়িক মন্দা কিছুটা দেখা দিলেও আমরা ধ্বংসের পথ থেকে অর্থনীতিকে রক্ষা করেছি। তবে নতুন কর্মসংস্থানের হার কিছুটা কমেছে, যা উন্নয়নের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ।
গার্মেন্টস খাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার এ খাতে ক্যাশ ইনসেনটিভ দিচ্ছে। কিছু প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা বা পণ্যের চাহিদার অভাবে সমস্যায় পড়েছে, তবে সরকার সম্ভাব্য সমাধান খুঁজছে।
বেক্সিমকো ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেক্সিমকো একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে, যার কারণ ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ও দুর্নীতি। তবে সরকারের দায়িত্ব জনগণের অর্থ সঠিকভাবে ব্যয় করা, তাই প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের দায় সরকার নেবে না। তবে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য আমরা কাজ করছি।
বাজার ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমান বাজার পরিস্থিতি তুলনামূলক ভালো, তবে আরও উন্নতি সম্ভব। গত বছরের তুলনায় অনেক পণ্যের দাম এখন কম।
এলএনজি সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সামনের গরম মৌসুমে এলএনজি সংকটের কোনো সম্ভাবনা নেই। ইতোমধ্যে দুই দফায় এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এবং সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের প্রধান লক্ষ্য ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন এবং জনগণের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন।
আপনার মতামত লিখুন :