পবিত্র রমজানের প্রথম সপ্তাহ পার হতেই বিভিন্ন নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমতির দিকে। ভোক্তাদের জন্য সবচেয়ে স্বস্তির বিষয় হলো, বোতলজাত সয়াবিনের সরবরাহ স্বাভাবিক না হলেও এটা নিয়ে বড় কোনো সংকট তৈরি হয়নি। শুধু তা-ই নয়, খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমেছে। এছাড়া রমজানে সবসময় চাহিদার শীর্ষে থাকে এমন পণ্যগুলোর দামও কমছে।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেছেন, প্রতি বছর রমজান মানেই বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম চড়া থাকবে। কিন্তু এবার সয়াবিন ও লেবু বাদে অন্য পণ্যগুলোর দাম তেমন একটা বাড়েনি। এছাড়া, রমজানের এক সপ্তাহ পর এখন চাহিদা কমায় পণ্যগুলোর দাম কমতে শুরু করেছে। তবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর বাজারে কঠোর নজরদারি চালিয়ে যেতে হবে। কারণ, এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ পেলেই বাজারে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়।
শনিবার (৮ মার্চ) রাজধানীর নিউ মার্কেট, শান্তিনগর, তুরাগ এলাকার নতুনবাজার ও কাওরান বাজারে খোঁজ নিয়ে বিভিন্ন পণ্যের দামের এ চিত্র পাওয়া যায়।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, গত দুই দিনে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, রমজানের শুরুতে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৯০ থেকে ২০০ টাকা লিটার বিক্রি হলেও গতকাল তা ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাম অয়েলের দামও কমেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি লিটার পাম অয়েলে তিন টাকা কমে গতকাল বাজারে তা ১৪৭ থেকে ১৫৪ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর বোতলজাত সয়াবিন তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৭৮ টাকায়।
এ প্রসঙ্গে তুরাগ এলাকার একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের স্বত্বাধিকারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, রমজানের আগে ও শুরুতে তেলের যে চাহিদা ছিল, এখন তা নেই। এছাড়া, বাজারে খোলা সয়াবিন তেলের সরবরাহ বেড়েছে। ফলে দাম কমতির দিকে।
তিনি বলেন, খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমলে এমনিতেই বোতলজাত সয়াবিনের চাহিদা কমবে। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনো স্বাভাবিক হয়নি বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত এবার রমজানে সয়াবিন তেলের সংকট হওয়ার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত অক্টোবর-জানুয়ারি সময়ে ৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৫২ মেট্রিক টন সয়াবিন তেল আমদানি হয়েছে, যা আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেশি। তাহলে বোতলজাত সয়াবিন তেলের এই সরবরাহ সংকট থাকবে কেন?