দেশের পুঁজিবাজারে বিগত সরকারের আমলে সংঘটিত নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও কারসাজির ঘটনা খতিয়ে দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের টেরা রিসোর্সেস ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও কনসালট্যান্ট এবং ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান ড. জিয়া উদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একটি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান হিসেবে ড. জিয়া উদ্দিন আহমেদ কমিটির সদস্য হওয়ার আগেই পুঁজিবাজারের অন্যতম অংশীজন হিসেবে বিবেচিত। একই কথা প্রযোজ্য আরেক সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এইমস বাংলাদেশ লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াওয়ার সাঈদের ক্ষেত্রেও। তাকেও এ কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
সম্প্রতি বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকেও এ তদন্ত কমিটির দেয়া প্রতিবেদনগুলোকে ‘বিতর্কিত’ হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে, যার জেরে বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করা, হট্টগোল, সেনা পাহারায় সংস্থাটির শীর্ষ কর্তাদের অফিস ত্যাগ ও অফিসে প্রবেশ এবং কর্মবিরতির মতো নজিরবিহীন পরিস্থিতি তৈরি হয়।
বিএসইসির পক্ষ থেকে গঠন করা এ অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি করা হয়েছে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৯-এর সেকশন ২১ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন ১৯৯৩-এর ধারা ১৭ (ক)-এ দেয়া ক্ষমতাবলে। এ দুই ধারার ওপর ভিত্তি করে সাধারণত তালিকাভুক্ত কোম্পানি, স্টক এক্সচেঞ্জ ও বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে তদন্ত করা হয়। আলোচ্য দুই ধারায় বিএসইসির নিজেদের কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার বিষয়টি নিয়ে সরাসরি বলা নেই। যদিও বিএসইসির কর্মকর্তারা দাবি করছেন, যেসব বিষয় নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেখানে সংস্থাটির নিজেদের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে কমিশনের সার্ভিস রুলস অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। ফলে এ তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পরোক্ষভাবে হলেও বিএসইসির নিজস্ব কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব।
পুঁজিবাজারে অনিয়ম-দুর্নীতি অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে থাকা ড. জিয়া উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য ইয়াওয়ার সাঈদ দুজনই দুটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। এ কমিটি গঠনের পর ড. জিয়া উদ্দিন আহমেদ ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেন। আর ইয়াওয়ার সাঈদ কমিটি গঠনের তিনদিন আগে সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এইমস বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারের অংশীজন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে এ দুজন আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর অধীনে ছিলেন। এতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার কোনো সিদ্ধান্তের কারণে তারা অতীতে সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকতেই পারেন। ফলে বিএসইসির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে তাদের পক্ষে কতটা নির্মোহ থাকা সম্ভব সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
স্বার্থগত দ্বন্দ্বের কারণে যাতে তদন্ত কার্যক্রমে প্রভাব না পড়ে, এ কারণে বিশ্বজুড়েই এ ধরনের বিতর্ক এড়িয়ে চলাকেই প্রমিত চর্চা হিসেবে গণ্য করা হয় বলে জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এখানে স্বার্থগত দ্বন্দ্বের বিষয়টি স্পষ্ট। এক্ষেত্রে তাদের নিজেদেরই এ কমিটিতে থাকা উচিত নয়। আইনের দৃষ্টিতে একই ব্যক্তি একই সঙ্গে অভিযোগকারী ও বিচারক হতে পারবেন না, এমন বিধান রয়েছে। মূলত স্বার্থগত দ্বন্দ্ব এড়ানোর জন্যই এটি বলা হয়েছে। ফলে নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতার স্বার্থে তদন্ত কমিটিতে স্বার্থগত দ্বন্দ্ব রয়েছে, এমন কাউকে রাখা যাবে না। বিএসইসির কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটির গ্রহণযোগ্যতার বিষয়ে যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে, সেটির যৌক্তিকতা রয়েছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. এবি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, তদন্ত সবসময় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে দিয়ে করানো উচিত, যাদের ক্ষেত্রে স্বার্থগত কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। কয়েক বছর ধরে পুঁজিবাজারের সূচক ৫ হাজার পয়েন্টের ধারেকাছে ওঠানামা করছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থায় এ ধরনের সমস্যা হলে এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা নষ্ট হবে এবং পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি আসবে না। এমনিতেও আসে না।
গত ৪ মার্চ বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরের আদেশ জারি করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পরদিন সংস্থাটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের ৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে কার্যালয় থেকে বের করে নিয়ে আসেন। সেদিন বিএসইসির কর্মকর্তারা চার দফা দাবি উত্থাপন করে সেগুলো মানা না হলে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিলেন। তাদের চার দফা দাবির অন্যতম ছিল বিতর্কিত তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমে কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কারণ দর্শানো বন্ধ করতে হবে এবং এরই মধ্যে দেয়া কারণ দর্শানোসংক্রান্ত চিঠিগুলো প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যদিকে সেদিনের ঘটনার বিষয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমের কাছে পাঠানো হয়।
এতে পুঁজিবাজারে বিগত দিনের বিভিন্ন অনিয়ম অনুসন্ধানে বিএসইসির তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়, এ পর্যন্ত তদন্ত কমিটি সাতটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া চলমান, যার আওতায় পুঁজিবাজারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিএসইসির কিছু কর্মকর্তা রয়েছে। বর্তমান কমিশন ‘পুঁজিবাজারের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় বিএসইসির কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি করেছে’ বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়।
সেদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংস্থাটির চেয়ারম্যানের বক্তব্য পর্যালোচনার ভিত্তিতে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দুই পক্ষই মনে করছে, এ অসন্তোষ সৃষ্টির অন্যতম একটি কারণ তদন্ত কমিটি। অংশীজনদের দিয়ে এ কমিটি গঠনের মাধ্যমে শুরুতেই এটিকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, যেটি এড়ানোর সুযোগ ছিল। ২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধস-পরবর্তী সময়ে সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিদ খালেদের নেতৃত্বে গঠিত সরকারের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনেও বিএসইসির বেশকিছু কর্মকর্তার অনিয়মের কথা উঠে এসেছিল। ওই প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে বিএসইসির তৎকালীন নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল কবীর ভূঁইয়াকে চাকরিচ্যুত করা হয়। ইব্রাহিম খালেদকে নিয়ে বিতর্ক না থাকার কারণে সে সময় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য সুবিধাভোগী একটি গোষ্ঠী চেষ্টা চালালেও সেটি সফল হয়নি। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে পুঁজিবাজার লুণ্ঠনকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রশ্রয় দেয়ার কারণে প্রতিবেদনের অধিকাংশ সুপারিশ বাস্তবায়নও হয়নি। বিগত সরকারের সময়ে পুঁজিবাজার লুণ্ঠনে বিএসইসির বেশকিছু কর্মকর্তার জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের পতনের পর সবাই প্রত্যাশা করেছিলেন, অতীতে পুঁজিবাজারে যেসব কারসাজি ও অনিয়ম হয়েছে সেগুলোর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে এবং পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরে আসবে। কিন্তু অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে তদন্ত কমিটিকে বিতর্কিত করার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের সে প্রত্যাশা হোঁচট খেয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, পুঁজিবাজারের অংশীজন যারা একসময় বিএসইসির নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর অধীনে ছিলেন, তাদের তদন্ত কমিটিতে যুক্ত করাটা সঠিক হয়নি। এতে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ার অবকাশ থেকে যায়। আমার অতীত অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, সরকারের গঠন করা কোনো তদন্ত কমিটিতে এ ধরনের নজির সম্ভবত এর আগে দেখা যায়নি। তাছাড়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বিএসইসির কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য থাকলেও সেটি পুনরায় বিএসইসিকে যাচাই-বাছাই করে বিধি অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করাটা সমীচীন হবে। প্রতিবেদনে নাম থাকলেই সেটির ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করাটা সঠিক নাও হতে পারে।
অংশীজনদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করায় স্বার্থগত দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ার বিষয়ে জানতে বারবার চেষ্টা করেও বিএসইসির দায়িত্বশীল কারো কাছ থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ বণিক বার্তার এ প্রতিবেদন না দেখে কোনো ধরনের মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়েছেন। যদিও সাংবাদিকতার চর্চা ও নৈতিকতা অনুযায়ী কারো বক্তব্য নেয়ার আগে তাকে পুরো প্রতিবেদন দেখানোর সুযোগ নেই।
তবে বিএসইসির গঠন করা অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, কমিটির প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট ইস্যুর ক্ষেত্রে ইস্যুয়ার প্রতিষ্ঠানের দায় নিরূপণের পাশাপাশি বিএসইসির কর্মকর্তাদের দায়িত্বে অবহেলা ও নিয়মবহির্ভূতভাবে সেটি অনুমোদনের ক্ষেত্রে তারা ভূমিকা রেখেছেন কিনা সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রে কমিটির সরাসরি শাস্তি প্রদানের এখতিয়ার নেই। কমিটি যেসব সুপারিশ করেছে সেগুলোর ভিত্তিতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে সেটি বিএসইসি নির্ধারণ করবে। তবে কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে যে ভাষায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর চিঠি দেয়া হয়েছে, সেটি দেখে তারা কিছুটা অবাক হয়েছেন। কারণ তাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এ ধরনের ভাষা ‘শোভনীয় নয়’।
বিএসইসির গঠন করা অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটিকে প্রথম ধাপে মোট ১২টি বিষয় তদন্ত করতে বলা হয়েছিল। বেক্সিমকো গ্রিন-সুকুক আল ইসতিসনা ইস্যু নিয়ে তদন্ত ও অনুসন্ধান এর মধ্যে রয়েছে। এছাড়া আইএফআইসি গ্যারান্টেড শেরপুর টাউনশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড ইস্যুসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসির (সিএসই) স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার বা কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এবিজি লিমিটেডের অনুমোদন বা মনোনয়ন, শেয়ার বরাদ্দকরণ বা শেয়ার অধিগ্রহণ ও মূল্য নির্ধারণসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় এবং বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের আইপিও অনুমোদন ও ইস্যুসংক্রান্ত যাবতীয় বিষয় অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
তদন্ত কমিটিকে আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজসংক্রান্ত পুঁজিবাজারের যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজি, ব্লক মার্কেটে শেয়ার অধিগ্রহণসংক্রান্ত কারসাজি ও ওটিসি থেকে এসএমই প্লাটফর্মে কোম্পানিটিকে স্থানান্তরের জন্য বিএসইসির আরোপিত শর্ত পরিপালনের হালনাগাদ তথ্যসহ যাবতীয় বিষয়েও অনুসন্ধান চালানোর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডসংক্রান্ত পুঁজিবাজারে যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজি এবং ২০২০ সালে কোম্পানিটিকে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান বোর্ডে পুনরায় তালিকাভুক্তিসংক্রান্ত অনিয়ম এবং কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত করতে বলা হয়েছে কমিটির সদস্যদের।
ফরচুন সুজ লিমিটেডসংক্রান্ত পুঁজিবাজারের যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজি, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণসংক্রান্ত অনিয়ম ও কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও তদন্ত, রিং শাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের প্রাইভেট ও পাবলিক অফারের মাধ্যমে মূলধন উত্তোলন ও বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন অতিরঞ্জিত করে বিক্রয় বেশি দেখানো এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর বা পাচারের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত, একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডসংক্রান্ত পুঁজিবাজারের যাবতীয় অনিয়ম ও কারসাজি, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে লভ্যাংশ বিতরণসংক্রান্ত অনিয়ম এবং আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা থেকে ন্যাশনাল ফাইন্যান্সের ঋণ পরিশোধে অনিয়মের বিষয় নিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত করে এ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
তথ্যসূত্র: বণিক বার্তা
আপনার মতামত লিখুন :