আস্থার সংকট কাটিয়ে দুর্নীতির কারণে প্রায় ধসের মুখে থাকা ১১টি সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকের মধ্যে ছয়টি ইতোমধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। গত ছয় মাসে আমানত সংগ্রহ ও গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে এসব ব্যাংক এ অগ্রগতি অর্জন করেছে।
ব্যাংকাররা বলছেন, আশঙ্কা থাকলেও আগের মতো সংকট নেই। ব্যাংকে টাকা তুলতে এসে এখন আর কেউ খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন না।
গ্রাহকেরা বলছেন, কয়েকদিন আগেও টাকা চাইলে পুরোটা দিতে পারত না ব্যাংকগুলো। তবে এখন যে পরিমাণ টাকা চাওয়া যায়, তাই দেওয়া হচ্ছে। ইচ্ছেমতো টাকা জমাও দেওয়া যাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আস্থা বাড়াতে সংস্কারের পাশাপাশি খেলাপি ঋণ আদায়ে জোর দিতে হবে।
দুর্বল ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, লেনদেন স্বাভাবিক হচ্ছে। এমনকি ছোট ঋণও দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের।
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, ব্যাংকের শাখাগুলো এখন ভালোভাবে চলছে। শাখাগুলোকে এরই মধ্যে ছোটখাটো লোন দেওয়ার ব্যাপারে বলা হয়েছে। মানুষ ইচ্ছেমতো টাকা জমা-উত্তোলন করতে পারছেন।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, লোন দেওয়া শুরু হলে সঠিকভাবে কিস্তি আদায় করতে হবে। লোনের টাকা বাইরে চলে গেলে যদি কিস্তি ঠিকমতো না আসে তাহলেই তারল্য সংকট দেখা দেয়।