অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের দক্ষ নেতৃত্বে দেশে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়ে প্রশংসায় মেতেছেন নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
আজ সোমবার নিজ ভেরিফোয়েড ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টের মাধ্যমে এ প্রশংসা করেন তিনি।
হাসনাত লিখেন, ‘২০২৪ সালের জুলাইয়ে সংসদে এক সংসদ সদস্য বলেছিলেন যে, সিন্ডিকেট ভাঙা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেই।
তবে সাত মাসের ব্যবধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন তা ভুল প্রমাণ করেছেন।
সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করে বাজার স্বাভাবিক রাখতে তার নেওয়া কার্যক্রম জনমনে স্বস্তি এনে দিয়েছে।’
‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একাধিক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।
পেঁয়াজ ও আলুর বাজারমূল্য কমাতে শুল্কহার কমানো হয়েছে, যেখানে আলুর শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে এবং পেঁয়াজের শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশে নামানো হয়েছে।
এছাড়াও, পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ীদের জন্য মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে ডিমের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে আমদানির ক্ষেত্রে কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে, বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জেলা পর্যায়ে ১০ সদস্যের বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করেছে, যা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছে।’
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমরা মনে করেছিলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা সীমিত।
তবে বশির উদ্দিন প্রমাণ করেছেন যে, সঠিক নেতৃত্ব এবং কার্যকর পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। এটি সত্যিই প্রশংসনীয়।
শেখ বশির উদ্দিন তার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তিনি রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। বাস্তবেও তিনি সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছেন।
তার নেতৃত্বে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে, শুল্ক কাঠামো পুনর্গঠন করা হয়েছে এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’