প্রবাসীর শ্রমে ভাসছে ঈদের ভেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৫, ০৪:৫৮ পিএম

প্রবাসীর শ্রমে ভাসছে ঈদের ভেলা

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের মার্চ মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশে এসেছে ২২৫ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) এর পরিমাণ প্রায় ২৭ হাজার ৪৭৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১১ কোটি ৮৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ে দেশে এসেছিল ১২৬ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার। সে তুলনায় এ বছর রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৭৮.৪ শতাংশ।

অন্যদিকে, গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারির প্রথম ১৯ দিনে প্রবাসী আয় ছিল যথাক্রমে ১৬৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ও ১২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার। সে তুলনায় মার্চ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় ধরনের উত্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রবাসীরা স্বজনদের কাছে ব্যাপক পরিমাণে অর্থ পাঠাচ্ছেন। ফলে মার্চ মাসে রেমিট্যান্সের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, শুধু ১৯ মার্চ একদিনেই দেশে এসেছে ১৩ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে যথাক্রমে ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার ও ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার।

২০২৪ সালে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ৬৮৮ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার। মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল নিম্নরূপ—

জানুয়ারি ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, ফেব্রুয়ারি ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চ ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিল ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, মে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, জুন ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, জুলাই ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্ট ২২২ কোটি ৪১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বর ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার, অক্টোবর ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮ হাজার ডলার, নভেম্বর ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ডলার, ডিসেম্বর ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার

চলতি মার্চ মাসের রেমিট্যান্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা প্রবাসী আয় বৃদ্ধির ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঈদ সামনে রেখে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়তে পারে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

 

 

 

 

 

 

 

 

আরবি/একে

Link copied!