ঢাকা বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫

সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড কেন সেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৫, ১০:৩৭ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

২০০৮ সালে লোগো পরিবর্তন করে নতুন বার্তা নিয়ে গ্রাহকদের সামনে হাজির হয় সিটি ব্যাংক। ২০০৯ সালে বিশ্বখ্যাত আমেরিকান এক্সপ্রেসের (অ্যামেক্স) ক্রেডিট কার্ড চালু করে ব্যাংকটি। একই বছর সব শাখা অনলাইনের আওতায় আনা হয়। ব্যাংকটির লোগোর পাশে যুক্ত হয় অ্যামেক্সের লোগো, যা দেশের ব্যাংকিং ইতিহাসে ভিন্নমাত্রা যুক্ত করে। 

২০১০ সালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাউঞ্জ সেবা চালু করে সিটি ব্যাংক, যা ছিল বেসরকারি খাতের প্রথম লাউঞ্জ সুবিধা। পরে আরও দুটি লাউঞ্জ চালু করে ব্যাংকটি। এর ফলে ব্যাংকটির কার্ড ব্যবসা নতুন মাত্রা পায়। দেশের সবচেয়ে বেশি ৭ লাখ ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক ব্যাংকটির। এতে ঋণ রয়েছে প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা। 

অ্যামেক্স সেঞ্চুরিয়ন লাইনে এইচএসডব্লিউ গ্রাহকদের জন্য রয়েছে অ্যামেক্স প্লাটিনাম কার্ড, এরপর সুপার ফ্লুয়েন্ট গ্রুপের জন্য রয়েছে অ্যামেক্স গোল্ড কার্ড, আর আপার ম্যাচ সেগমেন্টের জন্য রয়েছে অ্যামেক্স ব্লু কার্ড। অ্যামেক্স সেঞ্চুরিয়ন বাদে অ্যামেক্স ব্লু বক্স লাইনে আছে নারীদের জন্য স্পেশালাইজড কার্ড সিটি আলো অ্যামেক্স কার্ড, গ্রোসারি শপারদের জন্য অ্যামেক্স আগোরা কো-ব্র্যান্ড কার্ড, ফ্রিকোয়েন্ট ফ্লাইয়ারদের জন্য বিমান অ্যামেক্স কো-ব্র্যান্ড কার্ড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলামনাই ও শিক্ষকদের জন্য ডিইউ অ্যামেক্স কো-ব্র্যান্ড কার্ড। আর ভিসা নেটওয়ার্কে রয়েছে ভিসা ইনফিনিট ও ভিসা প্লাটিনাম ক্রেডিট কার্ড। দেশের ক্রেডিট কার্ড বাজারের প্রায় ২৫ শতাংশ সিটি ব্যাংক একাই নিয়ন্ত্রণ করে। এজন্য সিটি ব্যাংকে মার্কেট লিডারও বলা হয়।

জানতে চাইলে ব্যাংকটির কার্ড বিভাগের প্রধান তৌহিদুল আলম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, সার্বিকভাবে বিশ্বমানের গ্রাহক সেবা, প্রতযোগিতামুলক প্রোডাক্ট ফিচার, প্রিমিয়াম সার্ভিসেস, স্মার্ট টেকনোলজির মাধ্যমে গ্রাহক সেবা, এক্সক্লুসিভ ডিলস, স্টাটাস, গ্রাহকের চাহিদা ও প্রয়োজনের কথা চিন্তা করলে সিটি ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত ক্রেডিট কার্ডের মধ্যে সব ধরনের সমাধান রয়েছে। 

আমাদের কার্ডের মাধ্যমে গ্রাহকেরা তাদের সব প্রয়োজন মেটাতে পারেন, তা দেশেই হোক আর দেশের বাইরেই হোক। অর্থাৎ সিটি ব্যাংক গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে পারার কারণেই, আমরা তাদের আস্থা ধরে রাখতে পেরেছি এবং এ কারণে আমাদের ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকসংখ্যাও সবচেয়ে বেশি।

সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের গ্রাহকরা বার্ষিক যে চার্জ দেন তার থেকে ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি বেনিফিট অর্জন করতে পারেন। কার্ডটিতে রয়েছে দেশসেরা গ্রাহকসেবা। শুধু কার্ডের সেবা দেওয়ার জন্যই সিটি ব্যাংকের রয়েছে ৬টি সার্ভিস সেন্টার, যা দেশের অন্য কোনো ব্যাংকের নেই। এর বাইরে দেশব্যাপী ২৮টি ব্রাঞ্চে রয়েছে ব্যাংকটির ডেডিকেটেড কার্ড অ্যাম্বাসাডর এবং বিশ্বমানের তিনটি এয়ারপোর্ট লাউঞ্জ। মূলত এসব বৈশিষ্ট্যের কারণেই সিটি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে শীর্ষস্থানে থাকতে সক্ষম হয়েছে।

জানতে চাইলে সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, গ্রাহক চাহিদাকে অগ্রাধিকার দেওয়া, বেস্ট ইন ক্লাস কাস্টমার সার্ভিস ও লয়্যাল্টি প্রোগ্রাম, কম্পিটিটিভ ভ্যালু পিলার, বিস্তৃত মার্চেন্ট নেটওয়ার্ক, সর্বাধিক কাস্টমার টাচপয়েন্ট, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ও সমসাময়িক প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে স্থাপিত দেশের প্রথম ব্যাংকচালিত লাউঞ্জ, স্টেট অব দ্য আর্ট সিটিটাচ ইন্টারনেট ব্যাংকিং অ্যাপ, সুদক্ষ সেলস টিম, ব্র্যান্ড ভ্যালু এবং সব থেকে বড় কথা গ্রাহক সন্তুষ্টি আমাদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করেছে।