প্রায় দেড় যুগ পর স্বস্তিতে কাটলো পবিত্র মাহে রমজান মাস। এবারের রমজানজুড়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের বিভ্রাট এবং সাধারণ মানুষের নিত্যদিনের ভোগান্তি ছিলো না। এক কথায়, এবারের রোজা এবং ঈদযাত্রা ছিলো পুরানো দিনের চেয়ে অনেক বেশি শান্তিপূর্ণ ও নিরবচ্ছিন্ন।
রোজার মাসে বাজার ছিলো স্থিতিশীল। সাধারণত, রমজান মাসে বাজারের অস্থিরতা এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি একটি স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো, কিন্তু এবারের রমজানে ভোক্তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বিশেষত বাজারে পণ্যের দাম ছিলো অত্যন্ত সস্তা এবং সহনশীল। গত কয়েক বছরের মধ্যে এবছর রমজানে পণ্যের দাম ছিল সবচেয়ে কম। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তৎপরতা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারির ফলে এই পরিবর্তন সম্ভব হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের যন্ত্রণায় বছরের পর বছর কাটানোর পর এবার রোজা ছিলো লোডশেডিং মুক্ত। সাধারণ মানুষ রমজান মাসটি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে সক্ষম হয়েছে। বিদ্যুতের সাপ্লাই ছিলো যথাযথ এবং জনগণ একে অভ্যস্ত হতে পারে না এমন এক স্বস্তির অনুভূতি পেয়েছে।
ঈদে যাত্রা ছিলো ভোগান্তিহীন। মহাসড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজটের ছাপ ছিলো না। গাড়ি চালকরা জানান, এবারের ঈদে এমন ফাঁকা সড়ক আগে কখনো দেখেননি। ট্রেনের শিডিউলও ছিলো যথাসময়ে এবং যাত্রীরা যথাসময়ে ট্রেন পেয়ে তাদের ঈদযাত্রা উপভোগ করেছেন। ট্রেন চলাচলে এই সঠিক সময়মত পৌঁছানো ছিলো একটি বড় পরিবর্তন এবং যাত্রীদের মধ্যে সন্তুষ্টির সৃষ্টি করেছে।
এছাড়া, এবারের ঈদে সরকারের নতুন নেতৃত্ব এবং পরিবেশ পরিবর্তনের সুফল দেখা গেছে। গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে একটি মুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং জনগণ এখন বিশ্বাস করে যে, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক পরিবেশে পরিবর্তন আসছে, যা দেশের প্রতিটি খাতে সুফল নিয়ে আসবে।
সাধারণ মানুষের আশা, এই পরিবর্তনগুলো যেন অব্যাহত থাকে এবং ভবিষ্যতে আরও অনেক খাতে স্বস্তি, উন্নতি ও সমৃদ্ধি আনে। সকলের মধ্যে এক নতুন আস্থা ও প্রেরণা তৈরি হয়েছে যে, দেশের উন্নতি সম্ভব এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরও সহজতর হতে পারে।