বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মার্সেলের প্রায় চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন গাজীপুর সদর থানার ভবানীপুরে প্রতিষ্ঠানটির ডিস্ট্রিবিউটর পুষ্প ইলেকট্রনিক্সের স্বত্বাধিকারী অজয় কুমার সাহা।
বিপুল অঙ্কের টাকা আত্মসাৎকারীর গ্রেপ্তার হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্সেলের সৎ এবং ভালো ডিস্ট্রিবিউটরগণ।
সূত্রমতে, দেশব্যাপী কয়েক সহস্রাধিক ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে গ্রাহকদের হাতে সাশ্রয়ী দামে সেরা মানের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে দ্রুত ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করে নিয়েছে মার্সেল ব্র্যান্ড।
ক্রেতাদের আস্থা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে প্রতিবছরই বাড়ছে মার্সেল পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি। এতে করে ব্যবসায়ীকভাবে লাভবানও হচ্ছেন মার্সেলের ডিস্ট্রিবিউটরগণ। তবে কতিপয় অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর কর্তৃক কোটি কোটি টাকার পণ্য বাকিতে নিয়ে অর্থ পরিশোধ না করায় আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছে মার্সেল।
শুধু তাই নয়; বাকিতে নেয়া পণ্যের টাকা আত্মসাত করার লক্ষ্যে অসাধু ডিস্ট্রিউিটর কর্তৃক কোম্পানির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানোর প্রচেষ্টায় মার্সেল ব্র্যান্ডের সুনামও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এছাড়াও অসাধু ডিস্ট্রিবিউটর কর্তৃক আন্ডার রেটে পণ্য বিক্রি করায় ব্যবসায়ীকভাবে মারাত্মক ক্ষতির শিকার হন মার্সেলের সৎ এবং ভালো ডিস্ট্রিবিউটরগণ।
উল্লেখ্য, অর্থ আত্মসাতের কূটকৌশল হিসেবে অজয় কুমার সাহাসহ আরও একজন ডিস্ট্রিবিউটর গাজীপুর জেলায় সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কোম্পানির দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নালিশী মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত শুনানী নিয়ে অভিযোগের ভিত্তি নাই মর্মে মামলা দুটিকে খারিজ করে দেন।
দীর্ঘদিন যাবৎ অসাধু ব্যবসায়ীদের অর্থ আত্মসাৎ এবং নেতিবাচক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জোর দাবি জানিয়ে আসছেন মার্সেলের সৎ ডিস্ট্রিবিউটরগণ। এরই প্রেক্ষিতে কতিপয় অসাধু ডিস্ট্রিউিটরকে আইনের আওতায় আনার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মার্সেল।
মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৩ সাল থেকে চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সময়ে মার্সেলের কাছ থেকে বাকিতে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৮ টাকার পণ্য নেন গাজীপুর সদরের ভবানীপুরে মার্সেলের পরিবেশক ‘পুষ্প ইলেকট্রনিক্স’ এর স্বত্বাধিকারী অজয় কুমার সাহা।
দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উক্ত অর্থ পরিশোধ না করায় তার বিরুদ্ধে গত ২৬ মার্চ, ২০২৫ তারিখে কালিয়াকৈর থানায় অর্থ আত্মসাতের মামলা করা হয়। মামলা নং- ৫৩। উক্ত মামলায় গত ৬ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে গ্রেফতার হন অজয় সাহা।