দেশের ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি শাখা-২। অনুমতি দেয়ার এ তথ্য জানিয়ে মন্ত্রণালয় প্রধান আমদানি–রপ্তানি নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশের ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। সক্ষমতা অনুযায়ী এবার ১০০, ১৫০, ২০০, ৩০০, ৪০০ ও ৫০০ টন করে চাল রপ্তানি করা যাবে। অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকা ও রপ্তানি যোগ্যতার পরিমাণ দেখুন এখানে।
চাল রপ্তানিতে এসব প্রতিষ্ঠানকে বেশকিছু শর্তও দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, প্রতি কেজি চালের রপ্তানি মূল্য হতে হবে কমপক্ষে ১ দশমিক ৬০ মার্কিন ডলার। প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে হিসাব করলে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ১৯৫ টাকা।
অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি চাল কেউ রপ্তানি করতে পারবে না। আর প্রতিটি চালান জাহাজীকরণ শেষে রপ্তানি সংক্রান্ত সব কাগজপত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখায় জমা দিতে হবে।
অনুমোদনপত্র কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়। অর্থাৎ অনুমোদিত রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান নিজে রপ্তানি না করে অন্যের মাধ্যমে রপ্তানি করতে পারবে না অর্থাৎ সাব-কন্ট্রাক্ট দেয়া যাবে না।
রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ এর বিধি-বিধান অনুসরণ করতে হবে। অনুমতির মেয়াদ কার্যকর থাকবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। তবে সরকার চাইলে যেকোনো সময় অনুমতি বাতিলও করতে পারবে।
শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানিযোগ্য পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। পরবর্তী আবেদনের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী অনুমোদিত পরিমাণ হতে প্রকৃত রপ্তানির পরিমাণ সংক্রান্ত সকল তথ্য প্রমাণকসহ আবেদন দাখিল করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :