সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

কমেছে মাংসের দাম, সবজির বাজারে নেই স্বস্তি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম

কমেছে মাংসের দাম, সবজির বাজারে নেই স্বস্তি

ছবি: সংগৃহীত

ঈদের পর সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে বেড়েছে মাছের দাম। এছাড়াও গ্রীষ্মকালীন শাক-সবজির বাজারেও নেই স্বস্তি। তবে সবজি ও মাছের দামে স্বস্তি না থাকলেও কিছুটা কমেছে মাংসের দাম।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

রাজধানীর বেশ কয়েকটি বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে গ্রীষ্মকালীন সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে বেগুন প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৯০ থেকে ১২০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ধুন্দল ৭০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, কচুর লতির কেজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়াও ঝিঙে ৭০-৮০ টাকা, সজনে ১৪০ টাকা কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে ৫০ টাকা এবং কাঁচা আম ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপি প্রতিটি ৬০ টাকা পিস, বাঁধা কপি ৫০ টাকা পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৩০ থেকে ৫০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে।

এসব বাজারে লেবুর হালি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ১৪০ টাকা, কাঁচা কলার হালি ৪০ টাকা। চাল কুমড়া প্রতিটি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ক্যাপসিকাম ১২০ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে দেশি পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আদার কেজি ১২০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা, খেসারির ডাল ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এসব বাজারে মিনিকেট চাল প্রকারভেদে ৮৫ থেকে ৯৮ টাকা, নাজিরশাইল ৮৮ থেকে ৯২ টাকা, স্বর্ণা ৫৮ টাকা এবং ২৮ চাল ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে মাছের দাম। আসন্ন পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে ইলিশের দাম কিছুটা বেড়েছে। আকার ও ওজন ভেদে ইলিশের কেজি এক থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত।

অন্যান্য মাছের মধ্যে, রুইয়ের দাম কেজিতে বেড়ে (আকারভেদে) ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, শিং মাছ (আকারভেদে) ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা, মৃগেল ৩৬০ থেকে ৪০০ টাকা, পাঙাশ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার দুইশত টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাতল ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি ৫০০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া দেশি কই এক হাজার ২০০ টাকা, শোল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বেলে ৮০০ টাকা এবং কাইক্ক্যা ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

অন্যদিকে মাছের দাম বাড়তি থাকলেও কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। বাজারে মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। এসব বাজারে সোনালি কক মুরগি কেজিতে ৫০ টাকা কমে ২৭০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড কেজিতে ৪০ টাকা কমে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া লাল লেয়ার মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ২৮০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৭০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৩০ টাকা কমে ১৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি কেজিতে ২০ টাকা কমে ৬৩০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৭৮০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গিয়েছি।

আরবি/আরডি

Link copied!