ঈদের আগে রমজানে দ্রব্যমূল্য ছিল জনমানুষের হাতের নাগালের মধ্যেই। তবে ঈদের পর এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে দ্রব্যমূল্যে বেশ উত্তাপ দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে বাজারে শাক-সবজিসহ মাছের দাম বেশ বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন শঙ্কা সৃষ্টি করেছে সয়াবিন তেল। রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট চলছে। আগের চেয়ে নির্ধারিত দাম না বাড়লেও অনেক দোকানে সয়াবিন তেল নেই। যে কারণে অনেকে বোতলের গায়ের দামের চেয়ে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকানিরা।
বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানি থেকে সয়াবিনের তেল ঠিকমতো সরবরাহ করা হচ্ছে না। এজন্য বাইরে থেকে অধিক দামে তেল কিনে এনে বিক্রি করতে হচ্ছে।
কিছু দোকানে সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে। অর্থাৎ কোনো দোকানে ৫ লিটারের বোতলজাত তেল থাকলেও এক-দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোনো কোনো দোকানে প্রতি লিটারে নির্ধারিত দাম ১৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮০ টাকা বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে এক বিক্রেতা বলেন, আজ ঈদের পর প্রথম একটা কোম্পানি তেল দিয়ে গেছে। দুই লিটারের মাত্র তিন কাটন তেল। আর বলেছে, দাম বাড়ানোর আগে মাল দেবে না। নতুন রেট এলে তেল পাবেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানার মালিকরা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন। তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দুই দফা বৈঠকের পরও দাম বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এর আগে ঈদের ছুটির আগে শেষ কর্মদিবস ২৭ মার্চ ট্যারিফ কমিশনে এ বিষয়ে চিঠি দিয়ে ১ এপ্রিল থেকে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৯৩ টাকা হবে বলে জানায় পরিশোধন কারখানার মালিকদের ওই সংগঠন। সেই হিসাবে লিটারে দাম বাড়ছে ১৮ টাকা। তবে দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের অনুমতি এখনো মেলেনি। যে কারণে দফায় দফায় বৈঠক হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :