অনেকদিন ধরেই দেশের বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা নভোএয়ার বন্ধের গুঞ্জন চলছে। নভোএয়ারের ওয়েবসাইট থেকে ১৯ এপ্রিলের পরের কোনো ফ্লাইটের টিকেট বুকিং করা যাচ্ছিল না। এতেই সংস্থাটি বন্ধের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মাধ্যমে। তবে এ তথ্য ‘ঠিক নয়’ বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মফিজুর রহমান।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেন তিনি।
নভোএয়ারের এমডি বলেন, ‘আমরা একটি কারণে ১৯ এপ্রিলের পর থেকে ফ্লাইটের টিকেট বুকিং বন্ধ রেখেছিলাম। তাতেই এ আলোচনা হচ্ছে। এখন আবার ফ্লাইট চালু করেছি, টিকেট বুকিং দেওয়া যাচ্ছে।’
নভোএয়ারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা মূলত আমাদের ছোট এয়ারক্রাফটগুলো বিক্রি করে বড় এয়ারক্রাফট কেনার চেষ্টা করছি। কিছুদিন আগে ক্রেতাদের একটি দল এয়ারক্রাফটগুলো কেনার আগ্রহ দেখায়। তারা পরিদর্শনে আসার কথা ছিল। এ জন্য আমরা ১৯ তারিখের পর টিকেট বুকিং বন্ধ রেখেছিলাম। আজ আমাদের মিটিং ছিল। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ফ্লাইট চলবে। এখন টিকেটও বুকিং দেওয়া যাচ্ছে।’
মঙ্গলবার সকালে চেষ্টা করেও নভোএয়ারের ওয়েবসাইট থেকে ১৯ এপ্রিলের পরের কোনো ফ্লাইটের টিকেট বুকিং করা না গেলেও দুপুরের পর থেকে আবারও টিকেট বুকিং করা যাচ্ছে।
নভোএয়ার ছাড়াও দেশে আরও দুটি বেসরকারি উড়োজাহাজ সংস্থা হচ্ছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ও এয়ার অ্যাস্ট্রা।
এদিকে, নভোএয়ার বন্ধ হয়ে যাওয়ার গুঞ্জন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্নজন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
মাহবুব কবির মিলন নামের একজন ফেসবুকে পোস্টে লিখেছেন, ‘ডমেস্টিক এয়ারলাইন্স নভোএয়ার ১৯/০৪/২০২৫ থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এটা তাদের মালিকদের সিদ্ধান্ত। তারা আর এ ব্যবসা করবে না। সব প্লেন বিক্রি করে দিচ্ছে। আকাশ পরিবহনে অবশ্যই একটা খারাপ খবর। কম্পিটিটিভ বিনিয়োগ বা ব্যবসার যুগে একটা ভালো এবং চালু ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে, মেনে নেওয়া খুব কঠিন।’
সেই পোস্টে মল্লিকা দাস নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘নভোএয়ারের সার্ভিস আমার খুবই ভালো লাগত। এয়ারলাইন্সটি যে কারণেই বন্ধ হোক না কেন বিষয়টি দুঃখজনক।’
নভোএয়ারের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার গুঞ্জন বছরদুয়েক ধরে চলছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ দিকে নেপালের ইয়েতি এয়ারলাইন্সের কাছে দুটি এটিআর ৭২-৫০০ মডেলের এয়ারক্রাফট বিক্রি করে দেয় নভোএয়ার। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি এয়ারক্রাফট দুটি বুঝে নেয় ইয়েতি এয়ারলাইন্স।
এ বিষয়ে নভোএয়ারের একজন কর্মকর্তা বলেছিলেন, লম্বা রুটের জন্য এয়ারক্রাফট কিনতেই স্বল্প দূরত্বে ওড়ার উপযোগী এটিআরের এয়ারক্রাফটগুলো বিক্রি করে দিচ্ছেন তারা। সেই দুটি এয়ারক্রাফট বিক্রির পর পাঁচটি এয়ারক্রাফট আছে এখন বেসরকারি এই উড়োজাহাজ সংস্থার বহরে।