ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

ফের অস্থির ডলার বাজার, দাম বে‌ড়ে ১২৯ টাকা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ১০:৪০ এএম

ফের অস্থির ডলার বাজার, দাম বে‌ড়ে ১২৯ টাকা

ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাসকে সামনে রেখে আমদানি পণ্যের চাহিদা, বিদেশে ভ্রমণ ও এলসি বিল পরিশোধ বাড়ায় ডলা‌রের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে।  কিন্তু সেই হা‌রে যোগান তুলনামূলক কম।  অতিরিক্ত চাহিদা পূরণের জন্য ১২০ টাকা ঘোষিত ডলারের চে‌য়ে ৮ থে‌কে ৯ টাকা বে‌শি দরে রেমিট্যান্স কিনছে ব্যাংকগুলো।  যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে খোলাবাজারেও। এর সুযোগ নিয়ে অসাধু কিছু চক্র ডলা‌রের বাজারে অস্থিরতা তৈরি কর‌ছে।

জানা গে‌ছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত দর ১২০ টাকা হলেও স‌র্বোচ্চ ১২৮ টাকায় ডলার সংক‌টে রেমিট্যান্স কিনেছে ব্যাংকগু‌লো। এদিকে খোলাবাজা‌রে মা‌র্কিন ডলা‌রের দাম বে‌ড়ে ১২৯ টাকায় পৌঁছেছে। এক সপ্তাহ আগেও ছিল যা ছিল ১২৩ থে‌কে ১২৪ টাকা।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর ম‌তি‌ঝিল দিলকুশা এলাকায় মা‌নি চেঞ্জার ও বি‌ভিন্ন ব্যাংকগুলোতে এমন তথ্য পাওয়া গে‌ছে।

হঠাৎ ক‌রে ডলা‌রের চা‌হিদা বে‌ড়ে যাওয়ার কিছু অসাধু চক্র এর সু‌যোগ নি‌য়ে ডলা‌রের বাজারে অস্থিরতা তৈরি কর‌ছে। এমন অবস্থায় সন্দেহভাজন অন্তত ১৩টি ব্যাংকের কাছে ডলার বেচা-কেনার তথ্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একই সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রাবজার স্থি‌তিশীল কর‌তে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকগুলোকে চলতি মাসের মধ্যে পুরোনো আমদানি দায় পরিশোধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেজন্য  বেশি দামে ডলার কিনছে ব্যাংকগুলো। এতে বেশি প্রবাসী আয় আসছে। চলতি মাসের ২১ দিনে ২ বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এতে মোট রিজার্ভ ২৪ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। আইএমএফের পরামর্শে বিপিএম হিসাবে তা ১৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। আর ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ প্রায় ১৫ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বর্তমানে ব্যাংকগুলোর ডলারের সর্বোচ্চ বেঁধে দেওয়া রেট হলো ১২০ টাকা। যা গত জুনে ছিল ১১৮ টাকা এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১১০ টাকা। সেই হিসাবে ১ বছরে ডলারের ঘোষিত দর বেড়েছে ১০ টাকা। আর বাজারের বাস্তবতার সঙ্গে তুলনা করলে বেড়েছে ১৮ টাকা।

বর্তমানে প্রতি ডলার কেনা হচ্ছে ১২৭ টাকা ৫০ পয়সা আর বি‌ক্রি হ‌চ্ছে ১২৮ টাকা ৩০ পয়সায়। ত‌বে বিকেলের দি‌কে বিক্রি হয় ১২৯ টাকায়। মাত্র ১০ দিন আগেও খোলাবাজারে ১২৩-১২৪ টাকায় লেনদেন হয়েছে ডলার। মূলত ডিসেম্বরে অনেকেই ছুটি কাটাতে বিদেশে যাচ্ছেন। সেজন্য ডলারে বাড়তি চাহিদা দেখা দিয়েছে বলে জানান একচেঞ্জ হাউজের এক বিক্রয়কর্মী।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা গণমাধ্যমকে বলেন, ডলারের বাজার অস্থিরতা অনুসন্ধানে বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। তারা মনিটরিং জোরদার করে ইতোমধ্যে সন্দেহভাজন ক‌য়েক‌টি ব্যাংকের ডলার লেদনের তথ্য চাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকটি ব্যাংক নির্ধারিত তারিখে তথ্য দাখিল করেছে। সবকিছু দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরবি/জেআই

Link copied!