ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪
৭ কোম্পানির শেয়ার দরে পতন

বেক্সিমকোসহ ১২টি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি অনুসন্ধানে বিএসইসি

শাহীনুর ইসলাম শানু

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম

বেক্সিমকোসহ ১২টি প্রতিষ্ঠানের  দুর্নীতি অনুসন্ধানে বিএসইসি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ১২টি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির অনুসন্ধান করবে। তদন্তের ঘোষণায় সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্যাপক দরপতনের মুখে পড়েছে  ৭টি কোম্পানির শেয়ার ও একটি ১ বন্ড। বিএসইসির অনুসন্ধানে ঘোষণায় ডিএসইতে গতকাল কোম্পানির প্রতিটি শেয়ারের দরপতন হয়েছে।

ঋণ খেলাপির জনক সালমান এফ রহমানের বেক্সিমকো গ্রুপসহ ১২টি প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতি অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসির। পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে জিয়া ইউ আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯১৮তম জরুরি কমিশন সভায় রোববার এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সোনালী পেপার, একমি পেস্টিসাইডস, কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ফরচুন সুজ এবং এমারেল্ড অয়েল দরপতনের শীর্ষ ১০ তালিকায় উঠে এসেছে। ডিএসইতে দরপতনের শীর্ষে রয়েছে সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেড।

ডিএসইতে সোনালী সোনালী পেপারের শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে ১৭ টাকা ৯০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। দরপতনের শীর্ষ স্তানে রয়েছে কোম্পানিটি। শেয়ারদর ১ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ কমে তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে একমি পেস্টিসাইড লিমিটেড। কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের দর কমেছে ৮ দশমিক ৭১ পয়সা বা ২ টাকা ৩০ পয়সা। ফরচুন সুজের দর কমেছে ৮ দশমিক ২৮ শতাংশ বা ২ টাকা ৬০ পয়সা। একই সঙ্গে এমারেল্ড অয়েলের দর কমেছে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ বা ৭ টাকা ৮০ পয়সা।

এছাড়াও অনুসন্ধানের তালিকায় থাকা বেক্সিমকো গ্রীন-সুকুক আল ইসতিসনার দর কমেছে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বা ৩ টাকা ৫০ পয়সা, বেস্ট হোল্ডিংস লিমিটেডের দর কমেছে ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ বা ২ টাকা, রিং শাইন টেক্সটাইলের শেয়ারের দর কমেছে ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ বা ৪০ পয়সা।

বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কমিশন সভায় পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা ও পুঁজিবাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে  বিগত সময়ের অনিয়ম, কারসাজি ও দুর্নীতির বিষয়ে এ সংক্রান্ত আইন ও বিধিবিধানের আলোকে অনুসন্ধান ও তদন্ত করার জন্য সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২১ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ এর ধারা ১৭ক এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জিয়া ইউ আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ ব্যক্তির সমন্বয়ে একটি ‘অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি’ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

কমিটির সদস্যরা হলেন– যুক্তরাষ্ট্রের টেরা রিসোর্সেস ইন্টারন্যাশনালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং কনসালটেন্ট জিয়া ইউ আহমেদ, ফিনান্সিয়াল সেক্টর স্পেশালিস্ট ইয়াওয়ার সাইদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মো. শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. জিশান হায়দার ও বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটি প্রথম ধাপে ৬০ দিবসের মধ্যে তদন্ত ও অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পন্ন করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে। কমিশন প্রয়োজনবোধে অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটিতে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। কমিশন অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করবে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হচ্ছেন- আর্থিক খাত বিশেষজ্ঞ ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান এইমস অব বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইয়াওয়ার সাইদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মো. শফিকুর রহমান, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মো. জিশান হায়দার এবং বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. আনোয়ারুল ইসলাম। কমিশন প্রয়োজন মনে করলে অনুসন্ধান ও তদন্ত কমিটিতে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।

আরবি/জেডআর

Link copied!