ঢাকা: নগদের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলবে। প্রশাসক নিয়োগ করায় আগের পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত হয়েছে, ব্যবস্থাপনা পরিচালকও নেই। এখন থেকে আমরা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করব। এমডি ছাড়া অন্য কর্মীরা আগের মতো কাজ চালিয়ে যাবেন,- এসব কথা বলেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রশাসক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার।
মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান নগদের দায়িত্ব বুঝে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব বুঝে নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নগদে ৯ কোটি গ্রাহক রয়েছে। সম্প্রতি নগদের বিষয়ে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়েছে, যা পুরো ডিজিটাল আর্থিক সেবা খাতকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। পড়তে পারে বিরূপ প্রভাব। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ডাক বিভাগ থেকেও জনবল পাঠানো হয়েছে।
ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। তবে লেনদেন স্বাভাবিকভাবে চলবে। এটাকে আমরা আরও শক্তিশালী করব।
প্রশাসক নিয়োগের পরে রাতেই রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। কার্যালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক আনোয়ার উল্যাহ, যুগ্ম পরিচালক পলাশ মণ্ডল ও আবু ছাদাত মোহাম্মদ ইয়াছিন, উপপরিচালক চয়ন বিশ্বাস ও মো. আইয়ুব খানকে প্রশাসকের সহায়ক কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে ডাক বিভাগের তিন কর্মকর্তাকে নগদ অফিসে পদায়ন করা হয়েছে।
মুহম্মদ বদিউজ্জামান দিদার বলেন, নগদের কর্মীরা আগের মতোই কার্যক্রম চালিয়ে যাবেন। আমরা তাদের সহায়তা করব।
নগদের কার্যক্রমের নিরীক্ষা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে আমরা নিজেরাই খতিয়ে দেখব সবকিছু ঠিক আছে কিনা। এরপর প্রয়োজন হলে নিরীক্ষা করা হবে।’
ডাক বিভাগের পরিচালক আবু তালেব বলেন, গত পাঁচ বছরে ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন হিসেবে নগদের যে কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে, তাতে কোনো অসামঞ্জস্য পরিলক্ষিত হয়নি।
নগদের নির্বাহী পরিচালক মো. সাফায়েত আলম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশাসক নিয়োগকে আমরা স্বাগত জানাই। সরকারের এটি একটি সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ; যা গ্রাহকের আস্থা পুনরুদ্ধারে সরাসরি ভূমিকা রাখবে।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নগদের ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গভর্নর বলেন, নগদের ডিজিটাল ব্যাংকিং লাইসেন্স প্রক্রিয়া পুনরায় পর্যালোচনা করা হবে। পর্যালোচনা অনুযায়ী যোগ্য হলে লাইসেন্স পাবে তারা।
আপনার মতামত লিখুন :