ঢাকা: বছরের চতুর্থ চালানে ডিম আমদানি হলো সাড়ে ৬ টাকা দরে। এই দরে রোববার (২০ অক্টোবর) ডিম আমদানি হলো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস। পর্যায়ক্রমে আরও আসবে ৪০ লাখ। এর আগে আমদানিকৃত মূল্যের ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব শুল্ক নির্ধারিত থাকলেও তা কমিয়ে বর্তমানে ১৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ৫৮ ডলার। ভারত থেকে প্রতিটি ডিমের আমদানি মূল্য পড়ে ৫ টাকা ৭০ পয়সা। প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ১৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ও সব খরচ মিলিয়ে প্রতিটি ডিমের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৬ টাকা ৫০ পয়সা।
রোববার দুপুরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ডিমের চালানটি খালাসের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান।
তিনি বলেন, ডিম পর্যায়ক্রমে আরও আসবে ৪০ লাখ। এছাড়া আরও পাঁচটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৫০ লাখ ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব কমিয়ে ১৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব করা হয়েছে। প্রতি পিস ডিমের শুল্ক মূল্য ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে দশমিক ৭৫ পয়সা আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাস্টমস সূত্রে জানাযায়, এক হাজার ১০৪ বক্স ডিম নিয়ে একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রতি বক্সে ২১০টি করে ডিম রয়েছে। আমদানি করা এসব ডিমের মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ মার্কিন ডলার।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন ভারত থেকে ৪টি চালানে ৯ লাখ ২৭ হাজার ৩৬০ পিস ডিম আমদানি হয়েছে। ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কলকাতার শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভাণ্ডার।
আপনার মতামত লিখুন :