১৮ তম বছরে শুধুমাত্র সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করেছে জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড। এছাড়া কোম্পানির মূলধন আরও ৫০০ কোটি টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর বিকেলে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় লভ্যাংশের পাশাপাশি চলতি বছরের ৩০ জুন কোম্পানির আর্থিক ও নিরীক্ষা প্রতিবেদন অনুমোদন করা হয়।
সভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হলেও কোম্পানির স্পন্সর ও পরিচালকরা এর বাইরে থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কোম্পানির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলমগীর কবিরের সভাপতিত্বে গ্রুপ চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমাস শিমুল, পরিচালক মো. আশরাফুজ্জামান, আবদুল আহাদ, এবং স্বতন্ত্র পরিচালক সফিউল আলম খান চৌধুরী ও মুখতার আহমেদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া কোম্পানির পরিচালক সাদমান সাইকা সেফা ও সালেহীন মুশফীক সাদাফ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন তালুকদার, নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক (অর্থ ও ব্যবসা উন্নয়ন) কামরুল ইসলাম, চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিক, গ্রুপ চীফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার এইচএম আশরাফউজ্জামান সভায় অংশ নেন। কোম্পানি সচিব মো. মোশাররফ হোসেন সভা সঞ্চালনা করেন।
সভায় কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন এক হাজার কোটি টাকা থেকে দেড় হাজার কোটি টাকায় বৃদ্ধি করার প্রস্তাব করা হয়, যা সর্বসম্মতক্রমে গ্রহণ করা হয়েছে। কোম্পানির বিদ্যমান ঋণ পুন:অর্থায়নের জন্য ৫০০ কোটি টাকা পর্যন্ত নন-কনভার্টেবল, কিউমুলেটিভ, রিডিমেবল এবং নন- পার্টিসিপেটিভ প্রেফারেন্স শেয়ার ইস্যু করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে মো. আলমগীর কবির বলেন, ‘অর্থনৈতিক মন্দা এবং বিরাজমান অস্থিতিশিল রাজনৈতিক পরিবেশের চ্যালেঞ্জ সত্বেও যুগান্তকারী উদ্ভাবিত পণ্য বাজারে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে স্টিল সেক্টরে বাংলাদেশের ইমেজ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীতে আমরা উদ্ভাবন, গবেষণা ও উন্নয়ন, গুনগতমান নিশ্চিতকরণ এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির উপর দৃষ্টি অব্যাহত রাখবো। এতে আমাদের শেয়ারহোল্ডাররা দীর্ঘমেয়াদে লাভবান হবে।’
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ডলারের দাম, এলসি কমিশন, এলসি মার্জিন বৃদ্ধিসহ ব্যাংক সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪ থেকে ১৫ শতাংশে উপনীত হয়েছে। বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। গ্যাসের দাম তিনগুণ বেড়ে গেছে। এতে উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এরপরও ব্যয় ব্যবস্থাপনা এবং অপারেশনাল দক্ষতা বৃদ্ধির বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি থাকায় জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড যথাযথ আর্থিক ফলাফল প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জিপিএইচ ইস্পাত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট), কর্পোরেট ট্যাক্স, উৎস কর, সম্পূরক শুল্ক (এসডি), কাষ্টমস্ শুল্ক এবং রেজিষ্ট্রেশন ফি হিসেবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে প্রায় ৪২০ কোটি ২২ লাখ টাকা জমা করেছে।’
মোহাম্মদ আলমাস শিমুল বলেন, ‘জিপিএইচ একটি রেফারেন্স প্ল্যান্ট যা পরিদর্শন করতে ভারত, আমেরিকা, জাপান সহ বিভিন্ন দেশের বিশ্বখ্যাত কোম্পানির কর্মকর্তারা এসেছেন। জিপিএইচ ইস্পাতের টপ ম্যানেজমেন্ট এখন প্রোডাকশন, ডিস্ট্রিবিউশন, সেলস এন্ড মার্কেটিং বিস্তৃত করার জন্য তৃণমূলে স্টকহোল্ডারদের সাথে সংযোগ স্থাপন করছে।’
আপনার মতামত লিখুন :