অন্যান্য দেশের তুলনায় প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকেই পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন বাংলাদেশের আমদানিকারকেরা। দেশটি থেকে দ্রুত পণ্য আনা এবং বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা থাকায় আমদানিকারকেরা আমদানিতে আগ্রহী থাকেন। এ প্রয়োজনীয় নিত্য পণ্যটির রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের চার মাস পর তা কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে ভারত।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে এ হার কার্যকর হয়েছে বলে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে জানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পণ্যটির ন্যূনতম রপ্তানি মূল্যের শর্ত প্রত্যাহার করে, যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় শুল্ক কমানোর ওই নির্দেশনা জারি করে। প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫৫০ ডলার মূল্যের যে শর্ত ছিল, দেশটির সরকার তা প্রত্যাহার করেছে। পাশাপাশি কমানো হয়েছে রপ্তানি শুল্ক। গুরুত্বপূর্ণ পেঁয়াজ উৎপাদান অঞ্চল মহারাষ্ট্র রাজ্যে নির্বাচনের আগে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপরে থাকা কঠোর শর্ত শিথিল করা হলো।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য বা ‘মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস’–সংক্রান্ত শর্ত বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানায়। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বের কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়। এর ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এখন যেকোনো দামে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবেন।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু লিখেছে, বৃহত্তম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী রাজ্য মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় সরকার বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সিদ্ধান্তের কারণে পেঁয়াজ রপ্তানি বেড়ে যাবে, তাতে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিধানসভা নির্বাচনের আগে চাষিরা ভালো মুনাফা পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির গণমাধ্যম বলছে, দিল্লি পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত কঠোর করার পর মহারাষ্ট্রের পেঁয়াজচাষিরা ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দফায় দফায় বিক্ষোভ করেন। তবে দেশটির সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকার বাজারে পেঁয়াজের দাম কমিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর থাকা বিধিনিষেধ শিথিল করতে চায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :