ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

ই-জিপি সিস্টেমের সঙ্গে ডিভিএস’র আন্তঃসংযোগ স্থাপন

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম

ই-জিপি সিস্টেমের সঙ্গে ডিভিএস’র আন্তঃসংযোগ স্থাপন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি’র (বিপিপিএ) প্রবর্তিত ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের সঙ্গে ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের উদ্ভাবিত ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেমের (ডিভিএস) আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আইসিএবি মিলনায়তনে এ দুটি ডিজিটাল সিস্টেমের আন্তঃসংযোগ স্থাপনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আইসিএবি এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।

একই অনুষ্ঠানে রেজিস্ট্রির অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানি অ্যান্ড ফার্মস-এর নাম অনুমোদন পোর্টালের সঙ্গেও ডিভিএস’র আন্তঃসংযোগ স্থাপন উদ্বোধন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিপিপিএ’র সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শোহেলের রহমান চৌধুরী, বর্তমান প্রাধান নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা আশফাকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কম্পানির রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমান, আইসিএবি’র প্রেসিডেন্ট ফোরকান উদ্দিন এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুভাশীষ বোস।

আইসিএবি’র সিনিয়র উপ-পরিচালক ও আইটি প্রধান দেলোয়ার হোসেন সিস্টেম আন্তঃসংযোগের বিষয়ে জানান, দরদাতাদেরকে দরপত্র দাখিলের সময় তাদের প্রতিষ্ঠানের অডিটকৃত আর্থিক বিবরণীও জমা দিতে হয়। সেক্ষেত্রে নানা ব্যত্যয়, অনিয়ম ও অসুবিধার অভিযোগ রয়েছে। ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান এসব ডকুমেন্ট এতদিন ম্যানুয়ারি যাচাই করত। আন্তঃসংযোগ স্থাপনের ফলে এখন এসব ডকুমেন্ট অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে অফিসে বসেই যাচাই করা সম্ভব হবে। এবং ডিভিএস কর্তৃক সত্যয়নকৃত (সার্টিফাইড) আর্থিক বিবরণীতে কিউআর কোড যুক্ত থাকবে।

ক্রয়কারী যখন এই কিউআর কোডকৃত আর্থিক বিবরণী পাবে তখন ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে ডিভিএস থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তা সঠিক কিনা যাচাই করতে পারবে। এর ফলে কোনো জাল সনদ দাখিলের আর সুযোগ থাকবে না।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন- বাস্তব, সঠিক ও একক আর্থিক বিবরণী দাখিলের মাধ্যমে সরকারের যেমন রাজস্ব অর্জন বাড়বে তেমনি আর্থিক শৃংখলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এ পর্যন্ত ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যা প্রায় এক লাখ ২৩ হাজার।

 

আরবি/এইচএম

Link copied!