ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আমার সময়ে জনতা ব্যাংকের কোন ঋণ খেলাপী হয়নি: আব্দুছ ছালাম

এফ এ শাহেদ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম

আমার সময়ে জনতা ব্যাংকের কোন ঋণ খেলাপী হয়নি: আব্দুছ ছালাম

ফাইল ছবি

► এমডি ইচ্ছা করলেই শিল্প গ্রুপ ও ব্যক্তিকে লোন দিতে পারেনা
► এসআলমের ৯ ব্যাংক চলছে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকায়
► বড় ঋণ খেলাপীদের কাছে অসহায় এমডি
► আমার অর্থপাচারের বিষয় সম্পূর্ণ বানোয়াট
► দায়িত্ব ছাড়ার ১ বছর পর খেলাপী ঋণে পরিণত 

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর অনিয়ম ও জালিয়াতি ঘটনার আর্থিক চিত্র ফুটে উঠতে শুরু করেছে। যেসব কারণে খেলাপি ঋণ আরও বেড়েছে। তিন মাসেই ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৩৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। দেশের মোট খেলাপি ঋণের ৬২ শতাংশের বেশি রয়েছে শীর্ষ ১০টি ব্যাংকে। বাকি ৫১টি ব্যাংকে রয়েছে ৩৭ শতাংশের বেশি খেলাপি ঋণ।

দেশের ব্যাংকগুলোর যখন এমন অবস্থা। সে সময়, রাষ্ট্রায়ত্ব জনতা ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক, প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ দাবি করেন তার কর্মকালীন সময়ে জনতা ব্যাংকে কোন ঋন খেলাপী হয়নি।

 

☼ এমডি ইচ্ছা করলেই শিল্প গ্রুপ ও ব্যক্তিকে লোন দিতে পারেনা
এসকল বিষয়ে প্রাক্তন প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুছ ছালাম দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইচ্ছা করলেই কোন শিল্প গ্রুপ ও ব্যক্তিকে লোন প্রদান করতে পারেন না। বর্তমানে ব্যাংকিং খাতের সমস্যাগুলো শুধুমাত্র জনতা ব্যাংকের নয়, এটা রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারী খাতের বিভিন্ন ব্যাংকগুলো একই ধরনের সমস্যায় আছে দীর্ঘদিন যাবত।

তিনি বলেন, ইতিপূর্বে কোভিড-১৯ এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন শিল্প গ্রুপের ঋণ প্রদানের বিষয়ে এক/দেড় বছর ছাড় দেয়, যে কারণে তাদেরকে প্রদান করা ঋনসমূহ ক্লাসিফাইড হয়ে পড়ে এ জন্য কোন ব্যাংকের কোন পরিচালনা পর্ষদ ও এমডি দায়ী নয়। এই কোভিড এর কারণে ঋণজট সৃষ্টি হয়েছে। এরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ অবস্থায় দেশের অর্থনীতিতে চরম দুরাবস্থার মধ্যে পড়েছে, এখনও এই অবস্থা বিরাজমান। আমাদের দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আসে বিভিন্ন কোম্পানীর পন্য রপ্তানীর মাধ্যমে।

তিনি দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে আমদানী রপ্তানীর ঘাটতির কারণে ব্যাংকগুলো রুগ্ন হয়ে পড়েছে এবং এই ধারাবাহিকতা এখনও অব্যহত আছে।

☼ এসআলমের ৯ ব্যাংক চলছে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকায়
‘এসআলম গ্রুপের নয়টি ব্যাংক এখনও চলছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ধারের টাকায়। ঐ সব ব্যাংকগুলো গ্রাহকের কোন টাকা দিতে পারছে না। প্রতিদিন শাখা গুলোতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আব্দুছ ছালাম আজাদ আরও জানান, সরকারী ব্যাংকগুলো লিমিটেড কোম্পানী হলেও স্বাধীন ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না। সরকারের নির্দেশে বিভিন্ন এলসি কার্যক্রমে আমাদের সম্পৃক্ত হতে হয়। যেমন সরকারী চিনি কল, সুগার এন্ড ফুড তাদের বেতন ভাতা সরকারী ব্যাংক গুলো পরিশোধ করে আসছে সরকারী নির্দেশে। এরপর জুট মিলস কর্পোরেশন, বিজিএমসি, টিসিবি ছাড়াও বিপিসি’র জ্বালানী তেল আমদানীতেওবাধ্যতামূলক এলসি করতে হয় ব্যাংক গুলোকে। বন্যায়, খরায় কৃষি ঋণ মওকুফ করা হয়ে থাকে সরকারী নির্দেশে। এ ছাড়া সব আমদানী ক্ষেত্রে ব্যংক গুলো এলসি করে থাকে। একটি বেসরকারী ব্যাংক যেমন পরিচালনা পর্ষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে, সরকারী ব্যাংকের ক্ষেত্রে তেমন সুযোগ নেই। পর্ষদ এর পাশাপাশি সরকারী আদেশ ও নির্দেশ প্রতিপালন করাটাও বাধ্যতা মূলক, বলে জানান তিনি।

☼ বড় ঋণ খেলাপীদের কাছে অসহায় এমডি
আব্দুছ ছালাম বলেন, যদি আমাকে বলেন খেলাপী ঋণ সম্পর্কে, সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে একই চিত্র। বড় বড় খেলাপীরা রাষ্ট্রের বড় বড় পদ মর্যাদার ব্যক্তিদের সাথে সম্পৃক্ত থাকেন। তাদের উপেক্ষা করাও কোন এমডির পক্ষে সম্ভব নয়।


► সার্বিক বিষয়ে আব্দুছ ছালাম আজাদ আরো কথা বলেন দৈনিক রূপালী বাংলাদেশের সাথে, তার ব্যাংকিং ক্যারিয়ার নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, 
‘আমি ১৯৮৩ সালে সিরাজগঞ্জ অঞ্চলে জনতা ব্যাংক এ সিনিয়র অফিসার হিসাবে যোগদান করি এবং ৪০ বছর চাকুরী জীবনে ২৬ বছর মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন শাখার শাখা ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। শাখা পর্যায়ে কর্মদক্ষতা এবং যোগ্যতার কারণেই আমি নিয়মিত পদোন্নতির মাধ্যমে জিএম, ডিএমডি এবং ০৪-১২-২০১৭ ইং তারিখে জনতা ব্যাংক পিএলসি- তে এমডি ও সিইও হিসেবে ১ম মেয়াদে ০৩-১২-২০২০ইং পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি।

► সিরাজগঞ্জের আব্দুছ ছালাম আজাদের আয়কর নথির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 
প্রথম চাকুরিতে যোগদান সিরাজগঞ্জ, ওখানে আমি ২০ বছর অধিক কাল সময় চাকুরী করায় এবং আমার নিজ জেলা সিরাজগঞ্জ হওয়ায় আমি সিরাজগঞ্জ আয়কর অঞ্চলে ১ম রিটার্ন দাখিল করি। পরবর্তীতে আর ঢাকা ট্রান্সফার করা হয়নি সেগুলো। পৈত্রিকসূত্রে সকল এজমালী সম্পত্তি সিরাজগঞ্জে অবস্থিত। ঢাকায় রূপসী বাংলা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ-২ এর মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে ক্রয়কৃত জমির উপর ৯০০ বর্গফুটের ১ টি ফ্ল্যাট কিস্তিতে মোট ৩,৫৫,০০০/- টাকা পরিশোধের মাধ্যমে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিকট হতে মালিকানা লাভ করি। 
আমার সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ও আয়/ব্যয়ের হিসাব যথাযথভাবে আয়কর নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যা একাধিকবার বিভিন্ন সরকারী এজেন্সী/ প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যাচাই-বাছাই করে সঠিক মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। আমার জানা মতে, অনেক সরকারী দপ্তরের/সংস্থার কর্মকর্তার আয়কর নথি তাদের ১ম কর্মস্থল সংশ্লিষ্ট জেলায় আয়কর অফিসে জমা দিয়ে থাকেন।

► দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আব্দুছ ছালামের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছিলো কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান,
আমার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়ে জানায়, ইতিপূর্বে দুর্নীতি দমন কমিশন সেই বিষয়ে একাধিকবার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত করেছে। সেখানে আমার বা আমার পরিবারের কারও নামে দেশে বা বিদেশে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি প্রমাণিত না হওয়ায় উক্ত বিষয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিসমাপ্ত করে পত্র মারফত অবহিত করেছে।
আমার দুবাইয়ে ২০০ কোটি টাকার ডুপেক্স বাড়ি, ৩/৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি এবং বিদেশে অর্থপাচারের বিষয়সমূহ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

►  ব্যাংকের ঋণ প্রদান সংক্রান্ত বিষয়ে জানাবেন কি? এমন প্রশ্নের উ্ত্তরে তিনি বলেন,
ব্যাংকের নির্বাহী/ কর্মকর্তাদের বদলি বা প্রাইস পোস্টিং-এর বিষয়ে কোন প্রকার ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়নি। ব্যাংকের প্রয়োজন ও নিয়ম মোতাবেক এরূপ প্রশাসনিক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়, যার বিরুদ্ধে নির্বাহী/ কর্মকর্তাদের নিকট হতে আজও আবধি কোন পর্যায়ে কখনও কোন অভিযোগ দাখিল করা হয়নি।
জনতা ব্যাংকের অডিট কমিটি, সুদ মওকুফ কমিটি ও শৃঙ্খলা কমিটি প্রতিটি কমিটি ব্যাংকের ডিএমডিগণের সমন্বয়ে গঠিত হয়। উক্ত কমিটিসমূহের চেয়ারম্যান হিসেবে সংশিষ্ট বিভাগের ডিএমডি দায়িত্ব পালন করেন। এসকল কমিটির সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কোনভাবেই হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। এছাড়াও কমিটিসমূহের সুপারিশের ভিত্তিতে ব্যাংকের বোর্ড কতৃক সকল সিদ্ধান্তের অনুমোদন দেয়া হয়। এ বিষয়ে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

► দীর্ঘদিন যাবত বেক্সিমকো নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হয়ে আসছে এ বিষয়ে কি বলবেন? 
বেক্সিমকো গ্রুপ বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ গার্মেন্টস রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের রপ্তানী ক্ষেত্রে শীর্ষ ১০ রপ্তানীকারকের মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপ ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ সালে যথাক্রমে ৮ম ও ৯ম স্থান অধিকার করে।
২০২১ ২০২১- ২০২২ সালে উক্ত গ্রুপের ১০টি নতুন প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে রপ্তানী ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানিটি রপ্তানীর সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছায়। 
উক্ত সময়ে নিম্নস্বাক্ষরকারীর তত্ত্ববাবধানে ব্যাংকের নিবিড় তদারকীতে ২০২০ হতে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির সকল কিন্তি নিয়মিত আদায় করা হয়েছে। সেই সাথে গ্রাহকের শাখা অর্থাৎ জনতা ব্যাংক, লোকাল অফিস প্রতিবছর বেক্সিমকো গ্রুপ হতে বছরে ১,৫০০ থেকে ২,০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত সুদ ও কমিশন আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল। আমার দায়িত্বকালীন সময় অর্থাৎ ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত গ্রুপ প্রতিষ্ঠানটির সকল দায় সম্পূর্ণ যথাযথভাবে নিয়মিত ছিল। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির ইডিএফ দায় সম্পূর্ণভাবে পরিশোধিত হয়েছিল। এক্ষেত্রে কোন প্রকার গোপনীয়তা আশ্রয় নেয়া হয়নি।

☼ দায়িত্ব ছাড়ার ১ বছর পর খেলাপী ঋণে পরিণত 

আমি সিইও এন্ড এমডি হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে জনতা ব্যাংকের কোন বৃহৎ ঋণগ্রহীতা খেলাপী হয়নি, দাবি করে তিনি জানান, বেক্সিমকো গ্রুপের ১৮০০০ কোটি টাকা এবং এস আলম গ্রুপের ২০০০ কোটি টাকা ২০২৪ সালে অর্থাৎ আমাদের দায়িত্ব ছাড়ার ১ বছরের ও অধিক সময় পর খেলাপী ঋণে পরিণত হয়েছে। এই খেলাপী হওয়ার পেছনে শাখা পর্যায়ে তদারকির ঘাটতি এবং প্রধান কার্যালয়ের উদাসীনতা অনেকাংশ দায়ী।

► আমরা বিসমিল্লাহ গ্রুপের ও থার্মেক্স এর খেলাপী ঋণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 
বিসমিল্লাহ গ্রুপ ২০০৪ সালে জনতা ব্যাংক মগবাজার শাখায় হিন্দোলওয়ালী নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাক্তন এমডি মরহুম এস এম আমিনুর রহমানের সময়ে ঋণ গ্রহণ করে। প্রতিষ্ঠানটিকে আমি এমডি থাকাকালীন সময়ে কোন ঋণ প্রদান করিনি। পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানটি ঋণখেলাপীতে পরিণত হলে ২০১৯ সালে বিআরপিডি সার্কুলার- ০৫/২০১৯ মোতাবেক জনতা ভবন কর্পোরেট শাখায় ১৪ কোটি টাকা এবং মগবাজার শাখায় ৪ কোটি মোট ১৮ কোটি টাকা বৈধভাবে ফরেন রেমিট্যান্সের মাধ্যমে যথাযথভাবে ডাউন পেমেন্ট প্রদান করে এক্সিট পলিসির আওতায় ঋণসমূহের সুদ মওকুফ সুবিধা গ্রহণ করে। 
কিন্তু পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় ঋণটি পুনরায় খেলাপী ঋণে পরিনত হয় এবং সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিল হয়ে যায়। জনাব আব্দুল কাদির মোল্লার মালিকানাধীন থার্মেক্স গ্রুপে ২০০৬ সালে তৎকালিন এমডি মরহুম এস এম আমিনুর রহমানের সময়ে প্রতিষ্ঠানটি জনতা ব্যাংকের সাথে ব্যবসা শুরু করে। 

►  সর্বশেষ এননটেক্স বিষয় নিয়ে আব্দুছ ছালামের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন,
২০০৪ সাল থেকে ব্যবসা শুরু এননটেক্স গ্রুপের সকল ঋণ জনতা ব্যাংকের পর্ষদ কতৃক মঞ্জুরীকৃত। পর্ষদে প্রস্তাব উত্থাপনের পর তাঁরা পূর্বাপর সকল বিষয়াদি পর্যালোচনাপূর্বক বাংলাদেশ ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকের গাইডলাইন অনুসরণ করে ঋণগুলি অনুমোদন করে। ২০১৪ সালে ৬ টি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রকল্প ঋণ প্রদান করা হয়। 

তিনি দাবি করেন, জনতা ব্যাংকের অন্যতম ঋণ গ্রহিতা হাবিব হলিডে ইন হোটেল ব্যাংকের প্রাক্তন এমডি আবদুস সালম এফসিএ-এর সময়ে সোনালী ব্যাংক থেকে অধিগ্রহণ করা হয়, যা বর্তমানে অনিয়মিত আছে, এ বিষয়ে আমি জড়িত নই।

দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ের পূর্বে প্রদানকৃত বিশেষ করে থার্মেক্স, বিসমিল্লাহ, এননটেক্স গ্রুপসমূহের ঋণসমূহই পরবর্তী সময়ে অনিয়মিত হয়ে পড়ে। আমি এমডি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণকালে আলোচ্য প্রায় সকল ঋণই অনিয়মিত হয়ে পড়েছিল। আমি আমার কর্মকালে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি উক্ত ঋণসমূহ যথাযথভাবে নিয়মিত রাখার।

 

আরবি/এস

Link copied!