বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। এমন বাস্তবতায় স্থানীয় বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে চাল আমদানিতে বর্তমানে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ককর সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ‘চাল আমদানিতে শুল্ককর পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে এ শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সম্প্রতি বন্যায় চালের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয় বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল করতে সুনির্দিষ্ট মেয়াদে চাল আমদানিতে বর্তমানে প্রযোজ্য শুল্ক প্রত্যাহার দরকার।
কৃষি বিভাগের তথ্য দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগস্ট-অক্টোবরে অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দুই দফা বন্যায় মোট আট লাখ ৩৯ হাজার টন চালের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এর প্রভাবে দেশের বাজারে চালের দাম বেড়ে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সরু চাল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ, মাঝারি সরু চাল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং মোটা চাল ৭ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
গত ২০ অক্টোবর দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাল আমদানিতে শুল্ক-কর কমিয়ে দেয় সরকার। ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ শুল্ক থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়। এরপর বিশ্ববাজারে চালের দাম আরও চড়া হওয়ায় এবং আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে এবার আমদানি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :