ঢাকা বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫

ভূমিহীন কৃষকদের জন্য ‘স্বপ্নধরা’র অভিনব উদ্যোগ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম

ভূমিহীন কৃষকদের জন্য ‘স্বপ্নধরা’র অভিনব উদ্যোগ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

প্রতি বছরই বাড়ছে বাংলাদেশের জনসংখ্যা। মাথাপিছু জমির পরিমাণ বিশ্বে সর্বনিম্ন, মাত্র ০.২৫ একর। ছোট্ট এই দেশে বাড়তি মানুষের জন্য তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন বাড়ি। ফলে কমে আসছে আবাদি জমির পরিমাণ। এ কারণে কৃষকের জীবিকাও হুমকির মুখে।

ইতোমধ্যে জমি হারিয়ে কাজের খোঁজে শহরে চলে আসছেন কৃষক। ফলে বাড়ছে শহরের জনসংখ্যা।

আর এ কারণে ‍কৃষকদের জন্য রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ‘স্বপ্নধরা’র উদ্যোগে শুরু হয়েছে প্লট ফার্মিং। এই অভিনব উদ্যোগের ফলে একদিকে ভূমিহীন কৃষক পাবে চাষ করার জমি অন্যদিকে শহরের মানুষ পাবে নিজের জমিতে উৎপাদিত ফসল। স্বপ্নধরার এই উদ্যোগে ব্যবহার করা হবে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির ফেলে রাখা জমি। সেই সাথে উপকৃত হবে দেশের ভূমিহীন কৃষক।

স্বপ্নধরা তাদের হাউজিং প্রোজেক্টে বিক্রি হওয়া অব্যবহৃত জমি ভূমিহীন কৃষকদের দিয়ে চাষ শুরু করেছে। এ জন্য বিভিন্ন প্লটের জমিকেই উৎপাদনশীল কৃষি জমিতে পরিণত করা হয়েছে। পড়ে থাকা প্লটকে কাজে লাগানোর এই অভিনব উদ্যোগের নামই ‘প্লট ফার্মিং’।

স্বপ্নধরার পক্ষ থেকে ক্রিয়েটিভ এজেন্সি ‘পপ ফাইভ’ ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে প্লট ফার্মিং উদ্যোগটি শুরু করে। এজন্য প্রথমে নিবন্ধিত প্লটের মালিকদের সম্মতি নেয়া হয়। এরপর তাদের সম্মতিক্রমে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে ভূমিহীন কৃষকরা এখানে চাষাবাদ শুরু করেন। এসময় প্লটগুলোতে শুরু হয় শীতকালীন ফসল উৎপাদন, যা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

স্বপ্নধারা বলছে, বাংলাদেশে বহু শতাব্দী ধরে চলে আসা ‘বর্গাচাষি’ ব্যবস্থা থেকে অনুপ্রাণিত এই প্লট ফার্মিং শুরু করেছে। প্লটগুলোতে উৎপাদিত ফসল জমির মালিক এবং কৃষকদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করা হয়। যার মাধ্যমে কৃষক ও প্লট মালিক উভয়ই লাভবান হচ্ছে। প্লট ফার্মিং প্রচলিত বর্গাচষি প্রথাকে আধুনিকভাবে পুনর্বিবেচনা করে রিয়েল এস্টেট বিনিয়োগ এবং কৃষির মধ্যে একটি মেলবন্ধন তৈরি করেছে।

অব্যবহৃত জমিগুলিকে আবাদি জমিতে রূপান্তরিত করেছে প্লট ফার্মিং। এই উদ্যোগটি একদিকে কৃষকদের স্বাবলম্বী করছে, অপরদিকে উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় অব্যবহৃত জমিকে করছে একাধিক মানুষের জন্য লাভজনক ও টেকসই আয়ের উৎস।

দেশের রিয়েল এস্টেট কোম্পানিগুলা দীর্ঘদিন ধরে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছে। আর সেখানে প্লট কিনে বছরের পর বছর জমি ফেলে রাখছে মানুষ। তাই অন্যরাও যদি এই উদ্যোগে এগিয়ে আসে তাহলে কোনো জমিই আর অনাবাদী থাকবে না, এমনটাই মনে করে স্বপ্নধরা কতৃপক্ষ।

আরবি/এইচএম

Link copied!