ঢাকা: নবায়নযোগ্য জ্বালানীতে ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ অর্জন করতে চায় বাংলাদেশ। রূপান্তরিত জ্বালানী খাতের লক্ষ্য পূরণে ১.৫ থেকে ১.৭১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ দরকার। সারাবিশ্বে এই খাতে সেরা বিনিয়োগকারী দেশ চীন। ২০২৩ সালে বিশ্বে ৬৭৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে দেশটি। তাই সম্ভাবনাময় এই খাতে চীনের বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
ঢাকার গুলশানের একটি হোটেলে বৃহস্পতিবার ‘নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ: কীভাবে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারে’ শীর্ষক ডায়ালগ অনুষ্ঠানে এ তথ্য উপস্থাপন করে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। চ্যালেঞ্জ নিয়েই অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সম্ভাবনাময় রূপান্তরির জ্বালানির দিকে এগুতে চায় বাংলাদেশ। তাই ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ অর্জনে ১.৭১ বিলিয়ন ডলার চীনের বিনিয়োগ আকর্ষণে সিপিডির এই আয়োজন।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইনন্যান্স ডিপার্টমেন্ট প্রধান লিয়াকত আলী, গ্রামীণ শক্তি ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সোহেল আহমেদসহ (এমডি) অনেকে।
সভায় এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে প্রনোদনা সহায়তা অব্যহত থাকবে। এনবিআর নতুন লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি নিয়ে আমরা জিরো টলারেন্স। নতুন সরকারের দুই মাসে আমি সব সেক্টরের সঙ্গে বসেছি এবং নতুন নীতিমালা তৈরি করছি। এনবিআর লক্ষ্য অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে।
একই সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের কর প্রণোদনা, ভর্তুকি দেওয়া এবং সরকারি আর্থিক সহায়তায় সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বকে এগিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি বৈদেশিকা মুদ্রার ঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারকে তহবিল গঠন ও দক্ষ কর্মী তৈরিতে বিনিয়োগ করতে বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম জ্বালানি খাতে চায়নার বিনিয়োগ আনতে বেশ কিছু পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, চীনা বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হলে বাংলাদেশকে ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তাদের জন্য যেমন চাই ডেস্ক এবং অনুবাদক। অন্যদিকে চীনা নাগরিকদের মনস্তাতিক বিষয়টি নিয়েও ভাবতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :