ঢাকা: পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ১৮ টি কোম্পানি আইপিও থেকে সংগ্রহ করা ৮৬৩ কোটি টাকা এখনও ব্যবহার করতে পারেনি। কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে পুঁজিবাজার থেকে ২০১১ থেকে জুন ২০২৪ সালের মধ্যে নতুন শেয়ার ইস্যু করার মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করেছিল।
কোম্পানিগুলো হলো- একমি পেস্টিসাইডস, আমান কটন, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বিডি থাই ফুডস, বেস্ট হোল্ডিংস, ডমিনেজ স্টিল, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইনডেক্স এগ্রো, জেএমআই হসপিটাল, লুব-রেফ বাংলাদেশ, নাভান ফার্মাসিউটিক্যালস, রিং শাইন টেক্সটাইল, সিকদার ইন্স্যুরেন্স, সিল্ভা ফার্মা, তৌফিকা ফুডস এবং ইউনিয়ন ব্যাংক।
গত ১৩ বছরে, ১৩২ টি কোম্পানি আইপিও এবং আরপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে মোট ১০ হাজার ৪০২ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। এই কোম্পানিগুলির মধ্যে ১১৪টি তাদের প্রসপেক্টাসে বর্ণিত উদ্দেশ্যে ৯ হাজার ৫৩৯ কোটি টাকা সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার করেছে, বাকি ১৮টি কোম্পানির মাঝে কিছু কোম্পানি নির্ধারিত সময়ের মাঝে তাদের প্রসপেক্টাসে বর্ণিত খাতে অর্থ ব্যবহার না করে বিনিয়োগকারীদের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি।
স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি তাদের প্রকল্পে বরাদ্দকৃত আইপিও তহবিল ব্যবহারের সময়সীমা অতিক্রম করেছে, যার ফলে বিনিয়োগকারীদের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। তবে, কোম্পানিগুলোর মালিকানায় থাকা দুষ্টুচক্র এই অর্থ নিজ স্বার্থে ব্যবহার করছেন।
তবুও এম খায়রুল হোসেন এবং শিবলী রুবায়াত-উল ইসলামের নেতৃত্বাধীন কমিশনগুলো এই তহবিল সময়মতো ব্যবহার করতে ব্যর্থ সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কার্যকর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে কার্যকর প্রবিধানের অভাবের কারণে কোম্পানিগুলির সাথে জড়িত দুষ্টুচক্র নিজস্বার্থ হাসিলে বিভিন্ন সুবিধা নিতে সক্ষম হয়েছিল।
এদিকে, উভয় কমিশন তাদের নিজ নিজ মেয়াদে তালিকাভুক্ত কোম্পানি থেকে লাভবান হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা শুধু প্রত্যাশিত রিটার্ন থেকে বঞ্চিতই নয়, পুঁজিবাজারে আইপিও তহবিলের কাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা পরিকল্পনা অনুযায়ী আইপিও তহবিল ব্যবহারে বিলম্বের জন্য বেশ কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে কোভিড -১৯ মহামারী, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকট, কাঁচামালের ক্রমবর্ধমান খরচ, এলসি সহ স্থানীয় সমস্যা এবং চলমান ডলার সংকট।
আপনার মতামত লিখুন :