ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আলু, পেঁয়াজ ও ডিমে শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪, ০৪:০৩ পিএম

আলু, পেঁয়াজ ও ডিমে শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: সাম্প্রতিক বন্যায় দেশের ১১টি জেলায় কৃষিপণ্য ও পোলট্রিশিল্পের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শাস-সবজিসহ পেঁয়াজ, আলু ও ডিম উৎপাদন। এ অবস্থায় বন্যা-পরবর্তী নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে পেঁয়াজ, আলু ও ডিম আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের কাছে সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।

বর্তমানে ডিম ও আলু আমদানির ওপর ৩৩ শতাংশ এবং পেঁয়াজ আমদানির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে। তবে দেশে বছরে ৬-৭ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও ডিম ও আলু আমদানি তেমন হয় না বললেই চলে।

বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ৫২-৬০ টাকা, ডিমের হালি ৫০-৫৩ টাকা, দেশি পেঁয়াজের কেজি ১১০-১২০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ১০০-১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক মাসের ব্যবধানে ডিমের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ এবং পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ দশমিক ২৬ শতাংশ। বাজারের এমন পরিস্থিতিতে পণ্য তিনটির শুল্ক কমানোর সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন।

সুপারিশে বলা হয়, দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা এবং বিদ্যমান মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ জরুরি। পেঁয়াজ আমদানির ওপর শুল্ক ৫ শতাংশ এবং নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৫ শতাংশ, ডিম ও আলু আমদানির ওপর শুল্ক ২৫ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ৩ শতাংশ এবং অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশ বহাল রয়েছে। এসব শুল্ক প্রত্যাহার করলে আমদানিতে উৎসাহ বাড়ার পাশাপাশি বাজারে দাম কমে আসবে। এ জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদে তিনটি পণ্যের সম্পূর্ণ শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।

পেঁয়াজ, ডিম ও আলু আমদানির ওপর শুল্ক প্রত্যাহারের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, বাজারে সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ভোক্তা উপকৃত হবে। মুদ্রাস্ফীতির কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি কমানো যাচ্ছে না। তবে শুল্ক কমানো হলে ভোক্তার চেয়ে অনেক সময়ই ব্যবসায়ীরা উপকৃত হন বেশি।

তবে দেশে ডিম আমদানি হলে ক্ষুদ্র খামারিরা ধ্বংস হয়ে যাবেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, দেশে ডিম ও মাংসের দাম কমাতে পোলট্রি খাদ্যের দাম কমাতে হবে। এসব খাবার বড় কোম্পানি আমদানি করছে।

পেঁয়াজ আমদানিকারক ও রাজধানীর শ্যামবাজারের ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান বলেন, দেশে শুল্ক কমানো হলেও রপ্তানিকারক দেশে দাম বাড়লে কোনো প্রভাব পড়বে না। ভারতে বৃষ্টি হচ্ছে। সে দেশে দাম বাড়িয়ে দিলে দেশের বাজারে তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে আলু আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করা হলে বাজারে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন কারওয়ান বাজার ক্ষুদ্র আড়তদার সমিতির সভাপতি এ টি এম ফারুক।

তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত থেকে আলু আমদানি হলে তা সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি পড়বে। খুচরা পর্যায়ে ৪৫ টাকায় তা বিক্রি করা সম্ভব।

আরবি/ এইচএম

Link copied!