সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫

ফিলিস্তিনে বর্বর হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ২০, ২০২৫, ০৮:৪৯ এএম

ফিলিস্তিনে বর্বর হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মার্চ ফর প্যালেস্টাইন অনুষ্ঠিত।

বুধবার (১৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি মেইন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহিদ মিনারে এসে সমাবেশেও সংক্ষিপ্ত দোয়ার মাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়, স্লোগানগুলো হচ্ছে, ফ্রম দা রিভার টু দা সি, প্যালেস্টাইম উইলবি ফ্রি,ওয়ান টু থ্রি ফোর জায়োনিজম নো মোর, জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, ইন্তিফাদা ইন্তিফাদা জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, ট্রাম্পের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে, ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, হামাসের যোদ্ধারা লও লও লও সালাম।

৪৮তম আবর্তন শিক্ষার্থী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘আজকে আমেরিকা, ইসরায়েলের মতো দেশ টেরোরিজম, সন্ত্রাসবাদ এর কথা বলে। অথচ আমরা দেখি তারাই সন্ত্রাসবাদের ধারক বাহক। আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট বলে দিতে চাই, আমরা এসব সন্ত্রাসবাদ, টেরোরিজম এর বিরুদ্ধে সদা সোচ্চার। আমরা যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদ রুখে দিতে প্রস্তুত এবং ভবিষ্যতে এরকম কোনো সুযোগ আসলে আমরা তা লুফে নিতে দু‍‍`বার ভাববো না। আমরা আজকের এই মার্চ ফর প্যালেস্টাইন কর্মসূচি থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, আমাদের ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের প্রতি যেন আর কোনো অন্যায়, জুলুম, নির্যাতন করা না হয়। আমরা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে বলতে চাই, ফিলিস্তিনের পক্ষে ছিলাম, আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।’

৪৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন,বাংলাদেশের মানুষ সেহেরি ইফতার করছি আর ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নারী শিশুদের ওপর যে নির্মম নির্যাতন চালাচ্ছে আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, মুসলিম সম্প্রদায়কে একতাবদ্ধভাবে এই অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমরা পূর্বে যেমন ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলাম এখনো দাঁড়িয়েছি, মুসলিম সম্প্রদায়কে আহ্বান জানাতে চাই আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে ইসরায়েলের মতো সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যদি লড়াই না করেন তাহলে বারবার এই পৃথিবীতে মুসলিম সম্প্রদায়কে নির্যাতনের শিকার হতে হবে। আমরা ঘরে বসে সামাজিক মাধ্যমে নারী ও শিশুদের নির্যাতনের যেসব ভয়াবহ চিত্র দেখি হয়তো বাস্তবে তার চেয়েও করুণ। অনতিবিলম্বে ইসরায়েলি বাহিনীকে এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় এই মুসলিম সম্প্রদায় একতাবদ্ধভাবে ইসরাইলের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে।

৪৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, আমাদের কান্না পায়, যখন দেখি নিষ্পাপ মাসুম বাচ্চারা কোনো রকম অপরাধ না করে তাদের নির্বিচারে তাজা প্রাণ বিলিয়ে দিতে হচ্ছে। ইফতারের পর যখন সেহেরির বন্দোবস্ত করি, আর ফিলিস্তানিরা সেহেরির পর ইফতার পর্যন্ত বেঁচে থাকবে কিনা সেটা নিয়ে তারা চিন্তায় থাকে। এর আগেও এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছি, আমরা আবারও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতেও প্রস্তুত আছি। জাতিসংঘ নামের এই মুলার সংগঠন আমাদের মানবতা শেখাতে আসে অথচ ফিলিস্তিনে হাজার হাজার মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে, সেগুলা তাদের চোখে পড়ে না। জাতিসংঘের এই তীব্র নির্লপ্ততাকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সকলের প্রতি আহ্বান, নিরীহ শিশু নারীদের কথা ভেবে আপনারা প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।

আরবি/এসআর

Link copied!