ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

‘সংকট নিরসনে কোনো ম্যাজিক সলিউশন নেই, যুক্তির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম

‘সংকট নিরসনে কোনো ম্যাজিক সলিউশন নেই, যুক্তির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব’

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট নিয়ে উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, আমার কাছে কোনো ম্যাজিক সলিউশন নেই। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সবার সাথে কথা বলে যুক্তির ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেব। 

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন। 

এসময় চলমান পরিস্থিতিতে সবার পরামর্শ, সহযোগিতা ও আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আশা প্রকাশ করেন তিনি। 

নিয়াজ আহমেদ বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা কঠিন। পুরো জাতিই এখন বিভাজিত। এমন পরিস্থিতিতে পড়াশোনার জগতে স্থির হওয়া সহজ নয়।

হলের শৃঙ্খলা রক্ষার্থে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে সংকটে সমাধান করবেন বলেও জানান তিনি। 

গবেষণার বিষয়ে তিনি বলেন, গবেষণায় আমাদের আরও কাজ করতে হবে। ইতোমধ্যে কিছু অসাধারণ গবেষণা হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির সাথে আমাদের সংযোগ বাড়াতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠান শুধু সরকারি তহবিলে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। 

সম্প্রতি নবনিযুক্ত এই উপাচার্যের রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে প্রশ্ন উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এ বিষয়ে তিনি বলেন,  আমি ছাত্রজীবন থেকে কখনো কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করিনি। ভবিষ্যতেও করব না।  আমার দলীয় রাজনীতির প্রতি আগ্রহও নেই।

রাজনৈতিক সহাবস্থান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাব সমগ্র বাংলাদেশের উপর আছে। এক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্তগুলো বড় পরিসরে নিতে হবে। দেশ এবং সমাজ কী বলছে, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ।

শিক্ষার্থীদের চলমান বিভিন্ন আন্দোলন ও দাবিগুলোর বিষয়ে তিনি বলেন, মানুষের দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ আর দাবি এখন প্রকাশ করছে। তবে তা অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে চলে গেলে, উশৃঙ্খল হলে কোনো কাজ করা সম্ভব না। কোনো আন্দোলন বা দাবির সিদ্ধান্ত চাপের মুখে নেওয়া সম্ভব না। সেক্ষেত্রে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

মতবিনিময় শেষে ঢাবির ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসিতে) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণত্রাণ সংগ্রহের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন নবনিযুক্ত এই উপাচার্য। 

তিনি বলেন, সম্প্রতি বড় বড় সংকটে শিক্ষার্থীদের যেই স্বেচ্ছাসেবী মনোভাব দেখা গিয়েছে, সেই মনোভাবকে গুরুত্ব দিয়ে এর আনুষ্ঠানিক রূপ দেওয়া যেতে পারে। এই সুন্দর মনোভাবকে একাডেমিক কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত করে ক্লাসরুমে নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি।

আরবি/জেআই

Link copied!