ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

জাবিতে শহীদদের স্মরণে মেহফিল-ই-ইনকিলাব অনুষ্ঠিত

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৭, ২০২৪, ০৩:২১ পিএম

জাবিতে শহীদদের স্মরণে মেহফিল-ই-ইনকিলাব অনুষ্ঠিত

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

‘জুলাই বিপ্লব-২০২৪’ এর সকল শহীদদের স্মরণে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিপ্লবী গান, আবৃত্তি ও কাওয়ালী গানের আসর আয়োজিত হয়েছে। ‍‍`মেহফিল-ই ইনকলাব‍‍` শীর্ষক এ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিপ্লবী সাংস্কৃতিক মঞ্চ।

আয়োজন উপলক্ষ্যে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই সেলিম আল-দীন মুক্তমঞ্চে ভীড় করতে শুরু করেন সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা৷ তাদের সাথে সাভার ও আশুলিয়া এলাকার স্কুল-কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বেই মুক্তমঞ্চ কানায় কানায় ভরে ওঠে। 

আয়োজনে ‍‍`বিপ্লবী সাংস্কৃতিক মঞ্চে‍‍`র শিল্পীদের সাথে দর্শক মাতিয়েছেন ঢাকার ‍‍`ওয়ান এম্পায়ার‍‍` টিম। এসময় কাওয়ালি গানের পাশাপাশি বিপ্লবী গান, নজরুল সংগীত, নাতে রাসূলসহ বিভিন্ন ধরনের আবৃত্তিতে মুখর হয়ে ওঠে পুরো অনুষ্ঠান। রাত ৮ টায় সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে  মূল আয়োজন শুরু হয়। একে একে বাদ্যযন্ত্র আর শিল্পীদের গায়কীতে এক মোহনীয় মূর্ছনার সৃষ্টি হয়। কাওয়ালী গানের আধ্যাত্মিকতা ও বিপ্লবী গানের সুরে মেলবন্ধনে দর্শকেরা জুলাই বিপ্লবের শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন৷

কাওয়ালী গানের সুরে মুক্তমঞ্চে এক ভিন্ন আবহ সৃষ্টি হয়।  দীর্ঘদিন পর সাবেক- বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় অনুষ্ঠানটি। প্রতিটি কোণায় ছিল দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। এ আয়োজনে  বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসানসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী মিকদাদ বলেন, ‍‍`২৪ এর জুলাই মাসের এ আন্দোলনে আমরা সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি৷ প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জনের এক মাস পূর্তিতে এমন একটা আয়োজন আমাদের খুব আবেগাপ্লুত করেছে৷ শহীদদের রক্তমাখা স্মৃতিকে ধারণ করে আমরা বাংলাদেশকে নতুন করে গড়তে পারব এটাই প্রত্যাশা করি।

মেহফিলে-ই ইনকিলাবের আয়োজক আহসান লাবিব বলেন, জুলাই বিপ্লবের শহিদদের স্মরণে বিপ্লবী মঞ্চের আয়োজনে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে সারা বাংলাদেশে নতুন করে সাংস্কৃতিক ধারা শুরু হয়েছে। ৫ আগস্টের আগে তা ছিল অসম্ভব।অপসংস্কৃতির করাল গ্রাস থেকে বেরিয়ে এসে সুস্থ সংস্কৃতির এমন সুন্দর আয়োজন সর্বমহলে সাড়া ফেলেছে। মানুষ আমাদের এ আয়োজনকে সাদরে গ্রহণ করেছে। আমরা এমন একটি ক্যাম্পাস বিনির্মাণ করতে চাই, যেখানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এমন সুস্থ সংস্কৃতির আয়োজন ও অংশগ্রহণ করতে পারে।

আরবি/ এইচএম

Link copied!