ঢাকা সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শাহীনের বিচার চেয়েও পাননি; ভ্যানচালক নাহিদ

রিপন বারী (জাবি)

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম

শাহীনের বিচার চেয়েও পাননি; ভ্যানচালক নাহিদ

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিনের হাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্চিত হন নাহিদ হোসেন নামের এক ভ্যানচালক। নিরাপত্তা কার্যালয়ে আটকে রেখে তার পা ভেঙে দেয়া হয়। সেসময় দ্বারে দ্বারে ঘুরেও নির্যাতনের বিচার ও ক্ষতিপূরণ  পাননি অসহায় এই ভ্যানচালক।

গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা কার্যালয়ে ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লাকে মারধর ও পরবর্তীতে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পর ফের আলোচনায় আসেন সুদীপ্ত শাহীন। দীর্ঘ ৯ বছর দায়িত্ব পালন করা শাহীনের নানা কুকীর্তি সামনে আসতে থাকে। বিচারের আশায় এবার মুখ খুললেন ভ্যানচালক নাহিদ হোসেন।

ভুক্তভোগী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৬ অক্টোবরে ক্যাম্পাসের চৌরঙ্গী এলাকা থেকে ভ্যানচালক নাহিদ হোসেনকে নিরাপত্তা কক্ষে ধরে নিয়ে যান সুদীপ্ত শাহীন। তিন ঘণ্টা ধরে আটকে রেখে পিটিয়ে তার পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সুদীপ্ত শাহীনের বিরুদ্ধে। ঘটে যাওয়া এই নির্মম নির্যাতনের পরিপ্রেক্ষিতে ঐ বছর ১৯ অক্টোবরে সুদীপ্ত শাহীনের বিচার ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে একটি আবেদন পত্র তৎকালীন ডেপুটি রেজিস্ট্রার এ বি এম আজিজুর রহমানের কাছে জমা দেন ভ্যান চালক নাহিদ হোসেন।

অভিযোগ পত্রে নাহিদ হোসেন বলেন, আমি মো: নাহিদ হোসেন (ভ্যান চালক), গত ১৯-১০-২০২০ইং তারিখে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় রেজিস্ট্রার মহোদয় বরাবর আমার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের বিচার ও ক্ষতি পূরন চেয়ে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৩-০২-২০২১ইং তারিখে আপনার প্রেরিত “সত্যাসত্য যাচাই কমিটিতে উপস্থিত থেকে সাক্ষাতকার প্রদানের" পত্রটি (স্মারক সংখ্যা: জা.বি./ সত্যাসত্য যাচাই কমিটি/২৯৬৩) আমি পেয়েছি। আপনার নির্দেশনামতে আমি আগামী ২৫/০২/২০২১ইং তারিখ সকাল ১০:০০ টায় নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের কাউন্সিল কক্ষে উপস্থিত থাকব। পরবর্তীতে পুরো ঘটনার বিবরণ ও লিখিত আকারে সংযুক্ত করেন। 

অভিযোগের বিষয়ে সুদীপ্ত শাহীনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। তখনকার তদন্ত কমিটি এটাকে ভিত্তিহীন বলেছেন এবং এটা আমলে না নিয়ে তাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিলেন। এখন যদি সে আবার অভিযোগ করে তাহলে এটা তার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার। 

উল্লেখ্য, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে ৫ ই আগস্ট শহীদ হওয়া শ্রাবণ গাজীর হত্যা মামলার ১৮ নং আসামী এই সুদীপ্ত শাহীন। 

এছাড়াও ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করা, মারধর, ব্ল্যাকমেইল, চাঁদাবাজি, বেড়াতে আসা নারী দর্শনার্থীদের কটূক্তির মতো এক ডজনেরও বেশি অভিযোগ ওঠায় গত ২০২০ সালের নভেম্বর মাস থেকে সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন সুদীপ্ত শাহীন।  বর্তমানে তিনি প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

আরবি/এস

Link copied!