ঢাকা শুক্রবার, ১৪ মার্চ, ২০২৫

নবীনদের পদচারণায় মুখরিত ইবি ক্যাম্পাস

ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৩, ২০২৪, ১১:১১ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

নবীনদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রাঙ্গন। নবীন ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে ২ নভেম্বর থেকে।

উপলক্ষে বিভিন্ন বিভাগের পক্ষ থেকে নবীনদের বরণ করে নেওয়া জন্য নানা আয়োজন করা হয়েছে। ফুল উপহার ও মিষ্টি মুখ করানোর মধ্য দিয়ে নবীনদেরকে বরণ করে নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬টি বিভাগ। পাশাপাশি স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পেরে বেশ উচ্ছ্বাসিত নবীন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (০২ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি একাডেমিক ভবনের বিভাগগুলোতে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ডিপার্টমেন্ট ভিত্তিক ওরিয়েন্টেশন ক্লাসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্ব স্ব অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় সভাপতিবৃন্দ। এসময় শিক্ষার্থীদের রজনীগন্ধা ও গোলাপের স্টিক দিয়ে বরণ নেওয়া হয়।

প্রতি বছরের মতো এবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসা শিক্ষার্থীরা প্রথম দিনেই ছিলেন খুবই উচ্ছ্বসিত ও প্রাণবন্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডায়না চত্বর, ঝাল চত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বটতলা প্রাঙ্গণ, মফিজ লেক, আমতলা, সাদিয়া চত্বর ছাড়াও বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তন ও বিভিন্ন অনুষদ ভবনের সামনে নবীন শিক্ষার্থীদের দেখা যায় দলবেঁধে ঘুরে বেড়াতে, ছবি তুলতে, আড্ডা দিতে এবং একে অপরের সাথে পরিচিত হতে। সবুজে ঘেরা ১৭৫ একরে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম দিনেই যেন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে নবীন শিক্ষার্থীরা।

জার্নালিজম বিভাগের সাদ্দাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম দিনের অনুভূতিটা এমন একটা অনুভূতি যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। আমাদের শিক্ষক ও বড় ভাই-আপুরা যেভাবে আমাদেরকে বরণ করে নিয়েছেন, তা সত্যি অসাধারণ। নিজের একান্ত প্রচেষ্টা ও সবার সহযোগিতায় পিতামাতা ও দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চাই।

অপর শিক্ষার্থী ফারিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পছন্দের বিভাগে ভর্তি হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। প্রথমদিনের অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। প্রথম দিনেই ভাইয়া আপুরা আমাদের অনেকটা আপন করে নিয়েছেন। এ রকম আনন্দঘন পরিবেশ এর আগে পাইনি। চেষ্টা করবো মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হওয়ার।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের বলেন, জীবনে প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ পেরোতে পেরে সত্যি আমি আনন্দিত। চান্স পাওয়ার পর থেকেই মনের মধ্যে অনেক চিন্তা, প্রত্যাশা কাজ করতো। অবশেষে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে পদার্পণ কর‍তে পেরে ভালো লাগছে। আমাদের শিক্ষকবৃন্দ এবং সিনিয়র ভাই-আপুরা খুবই আন্তরিক।