ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে চারুকলা বিভাগের নামে বরাদ্দকৃত রুম থেকে অবৈধ দখলদারীদের উচ্ছেদ এবং বরাদ্দকৃত কক্ষ বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিভাগের নামে বরাদ্দকৃত ২৫ টি রুম বুঝে পাওয়ার দাবীতে তাদের এই আমরণ অনশন কর্মসূচী।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩ টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনের চত্বরে এই অনশন কর্মসূচি শুরু করে তারা যা এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চলমান রয়েছে। এতে ১৫ জনের অধিক অনশনকারী এবং চারুকলা বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান করছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অন্যান্য বিভাগের ক্লাস এক থেকে দুই ঘন্টা হলেও তাদের নিয়মিত ৪ টা পর্যন্ত টানা ক্লাস করতে হয়। কখনো তাদের একটা ক্লাস শুরু হলে এক সপ্তাহও লেগে যায়, তাদের ক্লাস ও ব্যবহারিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার জন্য ছুটির দিনেও তাদের ক্লাস করতে হয়। তাদের যেখানে প্রয়োজন ১৫ টা ক্লাসরুম সেখানে তারা ৬ টা ক্লাসরুম পাবে। কিন্তু তাদের নামে বরাদ্দকৃত রুমগুলোও আবার ফোকলোর স্টাডিজ ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ দখল করে রেখেছে।
অনশনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের জন্য যে রুমগুলো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেগুলো ফোকলোর এবং ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ দখল করে আছে। এই বিষয়ে কথা বলতে আমরা একাধিকবার প্রশাসনের দারস্থ হয়েছি কিন্তু আমরা কোনো ফলাফল পাইনি। পরে আমরা আন্দোলনের চরম পর্যায়ে পৌছে অনশন করতে বাধ্য হয়েছি। প্রশাসন যতদিন পর্যন্ত এর সুরাহা না করবে ততদিন পর্যন্ত আমরা অনশন করে যাবো।
অনশনকারী আরেক শিক্ষার্থী নেহা বলেন, আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে উঠবো না। কারণ আমাদেরকে অনেকেই অনেক ভাবে আশ্বস্ত করেছে। কিন্তু আমরা ফল পাইনি। আমাদের নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ হয়েছে, তাকে বসতে দেওয়ার মতো জায়গাও আমাদের নেই। নতুন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে কিন্তু ক্লাস করার মতো জায়গা আমাদের নেই এমনকি পরিক্ষা দেওয়ার মতো জায়গাও নেই। অন্যান্য বিভাগ এক রুমে ৯০ জন ক্লাস করতে পারলেও আমরা দশের অধিক ক্লাস করতে পারি না।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, আগামীকাল উপাচার্য সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের সাথে বসে ক্লাসরুমের বিষয়টা সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন। নিরাপত্তার বিষয়ে প্রক্টর হিসেবে আমি তো আছি। নিরাপত্তাজনিত কারণে যেকোন সময় তারা আমার সহযোগীতা পাবে।
আপনার মতামত লিখুন :