ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক রুনু ভারতে গ্রেপ্তার

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৪, ০৬:০৬ পিএম

রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সম্পাদক রুনু ভারতে গ্রেপ্তার

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

ভারতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু গ্রেপ্তার হয়েছে। গত ২ নভেম্বর মালদহ জেলার হবিবপুর ব্লকের টিকাপাড়া ও কেদারিপাড়ার মাঝে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে বিএসএফ তাকে গ্রেপ্তার করে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে তাকে ফয়জল আহমেদ নামে অভিহিত করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, তার বাড়ি বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার পাওয়া থানার ন’হাটায়। যদিও রাজশাহীতে পওয়া নামে কোনো থানা নেই। রয়েছে পবা থানা।

ভারতীয় পুলিশের বরাতে ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফয়সাল ২০১৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি রাজশাহী জেলা যুব লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘তাকে জেরা করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।’

পুলিশ ও বিএসএফ সূত্র জানায়, গত ২ নভেম্বর দুপুরে হবিবপুর ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তে টিকাপাড়া ও কেদারিপাড়া বর্ডার আউটপোস্টের মাঝখান দিয়ে উন্মুক্ত সীমান্তপথে ওই যুবক ভারতে প্রবেশ করেন। তখন সেখানে টহলরত বিএসএফের ৮৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাকে আটক করেন। সেদিন বিকেলে তাকে হবিবপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। পরের দিন পুলিশ তাকে কোর্টে হাজির করে বিচারকের নির্দেশে প্রথমে তিন দিন ও পরে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।

ফয়সাল পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরে তিনি প্রায় দু’মাস বাংলাদেশে আত্মগোপনে ছিলেন। প্রাণ বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে আসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফয়সাল আহমেদ রুনুর বাড়ি রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটায়। তার বাবা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গফুর সরকার ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। পরে ২০০৮ সালে নওহাটা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। তার ছেলে ফয়সাল আহমেদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হওয়ার পর থেকে জড়িয়ে পড়েন ক্যাম্পাসের ছাত্র রাজনীতিতে। কিন্তু রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ালেখার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকায় হয়েছিলেন ড্রপ-আউট।

সবশেষ ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং দায়িত্বে ছিলেন ২০২৩ সাল পর্যন্ত। গত জুনে তিনি রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মালেক বলেন, এ বিষয়ে আমরা কিছু জানি না। তাই আপাতত কোনো মন্তব্য করতে পারছি না।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!