তিন মাস ধরে কোষাধ্যক্ষ নেই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি)। কোষাধ্যক্ষ না থাকায় অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে উপাচার্যকে। ফলে কাজের চাপ বেড়েছে উপাচার্যের।
গত (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় পারিবারিক ও ব্যাক্তিগত কারণে পদত্যাগপত্র জামা দেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর। দীর্ঘ ৯৫ দিন পেরোলেও এখনো নিয়োগ হয়নি কোষাধ্যক্ষ। এ কারণে উপাচার্যকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১৩ নং ধারায় কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে, কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল তদারক ও অর্থ-সংক্রান্ত নীতি সম্পর্কে পরামর্শ দেবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পত্তি ও বিনিয়োগ পরিচালনা করবেন, বার্ষিক বাজেট ও হিসাব-বিবরণী পেশ করার জন্য দায়ী থাকবেন। এ ছাড়া কোষাধ্যক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সব চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন। যে খাতের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে, সে খাতেই যেন তা ব্যয় হয় তা দেখার জন্য কোষাধ্যক্ষ দায়ী থাকবেন। কোষাধ্যক্ষ সিন্ডিকেট, অর্থ কমিটি, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির এবং সংবিধি অনুসারে আরও কয়েকটি কমিটির সদস্য।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার তামজিদ হোসাইন চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী কোষাধ্যক্ষ নিজ ক্ষমতাবলে ৩০ হাজার পর্যন্ত সকল আর্থিক ফাইল স্বাক্ষর করতে পারে। এর উপরে যত আর্থিক ফাইল আছে সব উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়। এখন কোষাধ্যক্ষ না থাকায় সকল ফাইল উপাচার্য এবং ডাইরেক্টর একাউন্সে চলে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন চুক্তির ফাইলের স্বাক্ষর উপাচার্য করে থাকেন। তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত কোষাধ্যক্ষ না থাকায় প্রশাসনিক কাজে কোনো সমস্যা হয়নি। তবে উপাচার্য মহোদয়ের কাজের চাপ অনেকাংশে বেড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন, কোষাধ্যক্ষ না থাকায় প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে আমাকেই কোষাধ্যক্ষের অতিরিক্ত দায়িত্বও পালন করতে হচ্ছে। উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষের সকল ফাইল আমাকে দেখতে হচ্ছে, যার ফলে কাজের চাপ বেড়েছে। কোষাধ্যক্ষ থাকলে কাজের চাপ কমে যেত। আশা করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে।
আপনার মতামত লিখুন :