ঢাকা শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪
হাবিপ্রবি উপাচার্য

ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়ে আমাদেরকে চিরঋণী করে রেখে গেছে

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১৪, ২০২৪, ০৯:৪৪ পিএম

ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়ে আমাদেরকে চিরঋণী করে রেখে গেছে

ছবি : রূপালী বাংলাদেশ

আমাদের সন্তানেরা যে সাহস নিয়ে পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়েছে তা আমরা দেখেছি। তাদের অসীম সাহসিকতার জন্যই আমরা এখন পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখি। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান এর যে স্পিরিট তা যেনো আমরা নষ্ট হয়ে যেতে না দেই। আমাদের ছেলেমেয়েরা জীবন দিয়ে আমাদেরকে চিরঋণী করে রেখে গেছে। এই দেশকে নতুনভাবে গড়ে তুলে তাদের সেই ঋণ কিছুটা হলেও আমরা শোধ করতে পারবো বলে আমি মনে করি।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ রাহুল স্মরণে ও আহতদের সুস্থতা কামনায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের পরম সৌভাগ্য তোমাদের মতো একটা প্রজন্মকে আমরা দেখে যেতে পেরেছি। তোমরা আমাদের পরেও পৃথিবীতে বেঁচে থাকবা, এই দেশপ্রেমের স্পিরিট যেনো তোমাদের পরবর্তী প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত চলমান থাকে তা তোমাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। শুধু কথায় নয় কাজেও নিশ্চিত করতে হবে।

শহীদ রাহুলের পরিবারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরির প্রস্তাব করা হয়। এ প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, আমাদের কাছে তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব এসেছে। শিক্ষার্থীরা যদি চায় তাহলে অবশ্যই তা বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবো। আমি মনে করি, এই স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হলে তা শুধু শহীদ রাহুল নয় বরং আন্দোলনের সকল শহীদের স্মৃতি বহন করবে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম শিকদার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. এমদাদুল হাসান। আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ শামসুজ্জোহা, বিভিন্ন হলের হল সুপার এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অন্যন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিনের সঞ্চালনায় দুপুর ১২টায় সভাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শহীদ রাহুলের মেজো ভাই আল আমিন ইসলাম। তিনি বলেন, এই আন্দোলনে অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে। এতো এতো আত্মত্যাগ যেনো বৃথা না যায় এদিকে আমাদের নজর রাখতে হবে। আমি সবার কাছে অনুরোধ জানাবো এত সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে আমরা যে নতুন দেশ পেয়েছি আমরা যেনো নিজেরা সেই দেশ গড়ার কাজে সবসময় সৎ থাকি।

আলোচনা সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে শহীদ রাহুলের পরিবারের নিকট স্মারক উপহার তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ এনামউল্যা।

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে দিনাজপুর আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন রাহুল। পরে তাকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ৯ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। রাহুল রানীগঞ্জ এহিয়া হোসেন মহাবিদ্যালয়ের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

 

আরবি/ এইচএম

Link copied!