পাকিস্তানের সঙ্গে অ্যাকাডেমিকসহ সকল সম্পর্কের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। ২০১৫ সালে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়।
গত ১৩ নভেম্বরের সিন্ডিকেট সভায় নিষেধাজ্ঞার বিষয় তুলে নেওয়া হলেও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি কেউ। আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ফলে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীরাও পড়তে পারবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, আবার ঢাবির শিক্ষার্থীরাও সে দেশে পড়তে পারবে। শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ নানা বিষয়ে আন্তসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফও নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পাকিস্তানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ঢাবির সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে জোরদার করার কথা বলেন।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে সায়মা হক বিদিশা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাকাডেমিক প্রতিষ্ঠান। ফলে অনেকে স্কলারশিপ-কনফারেন্সে যোগ দিতে যেতে চায়। একসময় সম্পর্ক ছিন্ন ছিল, আলোচনা করে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রসঙ্গত, যত দিন পর্যন্ত পাকিস্তান গণহত্যা, হত্যা ও নির্যাতনের কথা স্বীকার করবে না তত দিন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে এ প্রতিষ্ঠান (ঢাবি) কোনো ধরনের সম্পর্ক রাখা হবে না জানিয়ে ২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাবির জরুরি সিন্ডিকেটে পাকিস্তানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :