ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

ভারত বিরোধী স্লোগানে উত্তাল যবিপ্রবি

যবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৪, ০৩:৫৬ পিএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) বিক্ষোভ করেছে শতাধিক শিক্ষার্থী। এসময় তাঁরা ঢাকা-চৌগাছা সড়ক অবরোধ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে দশ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিযূর রহমান হল থেকে এ বিক্ষোভ শুরু হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-চৌগাছা সড়ক অবরোধ করে।

এসময় বিক্ষোভকারীরা ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও জনগণ’; ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’; ‘ভারতীয় আগ্রাসন নিপাত যাক’; গোলামি না আজাদি, আজাদি-আজাদি’; জ্বালো রে জালো, আগুন জ্বালো’ প্রভৃতি স্লোগান দেয়। শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান ইমরান বলেন, দেশের হাই কমিশন কখনো হামলার লক্ষবস্তু হতে পারে না, কিন্তু ভারতীয় উগ্রবাদীরা সেটি মান্য করেনি। এই হামলার দায় ভারত সরকারকে নিতে হবে।

বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এ দেশের মানুষ বিভিন্ন উৎসবে ভারতকে ইলিশ দেয়, হিন্দুদের মন্দির পাহারা দেয়। কিন্তু বিনিময়ে ভারত সীমান্তে আমাদের ভাইদের হত্যা করে লাশ উপহার দেয়।

ভারতের এসব কাজের আমরা যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের হাবিব আহমেদ  শান বলেন, যে দেশ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে, সেই দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব কখনো সম্ভব নয়। উগ্র হিন্দুত্ববাদ বিশ্বের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় সৃষ্টি করেছে। ভারতে যখন মসজিদকে মন্দিরে রূপান্তরিত করা হয়, তখন তাদের নৈতিকতা কোথায় থাকে? বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, যেখানে আমরা হিন্দুদের মন্দির পাহারা দেই। কিন্তু তারাই আমাদের বিভক্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকে।

গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী সুমন আলী বলেন, আমরা দেখতে পাই, ৫ আগস্টের পর স্বৈরাচারী সরকার বিদায় নেওয়ার পর, ভারত সরকার বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে নানা অপকর্ম চালানোর চেষ্টা করছে। তারা দেশের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ভারত সরকার যেখানে মসজিদ ভেঙে মন্দির নির্মাণ করছে এবং নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, তারা সেটি দেখতে পায় না। আজকের যে হাই কমিশনে হামলার ঘটনা ঘটেছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। তবে পরবর্তীতে যদি আবার এমন হামলা হয়, আমরা এর পাল্টা জবাব দেব।

প্রসঙ্গত, আগরতলার ত্রিপুরায় অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা টেনেহিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলা হয়। বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস প্রভুকে অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে ভারতের ডানপন্থি সংস্থা ‘হিন্দু সংগ্রাম স্মৃতি’- এ হামলা চালায়।