ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাবি শিক্ষার্থীরা

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৬:২২ পিএম

৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাবি শিক্ষার্থীরা

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ৩ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাধারন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো, সারাদেশে মব জাস্টিস বন্ধ, বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ এবং দলীয় লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন রাস্তায় মানববন্ধ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সাধারন শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন ইংরেজী বিভাগের  শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, গতকাল আমাদের ক্যাম্পাসে এক ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা গনপিটুনির স্বীকার হয়ে আহত অবস্থায়  প্রশাসনের হাতে তুলে দিলে পুলিশি হেফাজতে মারা যায়। শামীম মোল্লাকে প্রথমে প্রান্তিক গেটে প্রথম দফায় মারা হয় এরপর প্রক্টর অফিসে হস্তানতর করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন সমন্বয়ক সেখানে উপস্থিত থাকায়  তাকে ফাসানো হচ্ছে।  সব দোষ চাপানো হয়েছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপর। প্রসাশন কেন ভিডিও ফুটেজ গুলো জাস্টিফাই করে কেন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না। যেসকল অপরাধীরা কালকের ঘটনার সাথে জড়িত ছিল তাদেরকে দ্রুত শাস্তির আওতায় আনা হোক। সারাদেশে যে মবজাস্টিস শুরু হয়েছে সেটা বন্ধ করুন। আমারা একটি সুন্দর দেশ সুন্দর ক্যাম্পাস গঠনে সরকারকে সহোযোগিতা করব।

ইতিহাসে বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াহিয়া জিসান বলেন,  আমাদের নতুন স্বাধীন বাংলাদেশে আমরা কেনো বিচার বর্হিভূত হত্যা কান্ড চাই না। আমারা দেখেছি বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আবরার ফাহাদ সহ অনেক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে এ সংস্কৃতি বন্ধ হোক। গত কালকের ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। এবং পরবর্তীতে যাতে ক্যাম্পাসে আর এমন গর্হিত কাজ না ঘটে সে বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

ইংরেজি বিভাগের ৪৯ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন ‍‍` চব্বিশের আন্দোলনকে আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলছি কিন্তু আদৌও কি আমরা সেই স্বাধীনতা পেয়েছি? আমরা গতকাল দেখলাম সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সন্ত্রাসী শামিমকে বিচারবহির্ভূতভাবে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, ছাত্রলীগের সময়েও আমরা দেখেছি ট্যাগিং এর নামে বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে নির্যাতন করা হতো, কিন্তু সেই কালচার আবারো ফিরে এসেছে।এমন সব ঘটনার পিছনেই ইন্ধনদাতা হল ছাত্ররাজনীতি, তাই অবিলম্বে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চাই।   গতকাল এহেন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটা সত্ত্বেও প্রশাসন এখন পর্যন্ত কোন তদন্ত কমিটি গঠন বা কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, এমনকি ১৫ই জুলাই যারা ছাত্রদের ওপর হামলা করেছিল তাদেরও কোনোরূপ শাস্তির আওতায় আনা হয়নি, এমনকি তালিকাও করা হয়নি, অতি দ্রুত এ সকল ঘটনায় জড়িত দোষীদের তালিকা তৈরি করে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

 

আরবি/এস

Link copied!