ঢাকা শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

বাঙলা কলেজে তারুণ্যের উৎসব

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩০, ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম

বাঙলা কলেজে তারুণ্যের উৎসব

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি বাঙলা কলেজে দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে তারুণ্যের উৎসব। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) কলেজের বিজনেস এন্ড ক্যারিয়ার ক্লাবের সহযোগিতায় কলেজ মাঠে জুলাই বিপ্লবকে অর্থবহ করতে এবং তারুণ্যের প্রতীক হিসেবে ৩৬ জুলাইকে সকলের মাঝে তুলে ধরে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তিকে প্রদর্শনের লক্ষ্যে কলেজ প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলা সংস্কৃতির ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের কাছে ফুটে উঠে। এছাড়া কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বাংলা সংস্কৃতির এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।

এই তারুণ্য উৎসবের উদ্বোধন করেন, কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কামরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘এই উৎসব আমাদের শেকড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমাদের লক্ষ্য তরুণ প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত করা। তারুণ্যের পিঠা উৎসব এই প্রচেষ্টারই একটি উদাহরণ। এরকম আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ তৈরি করবে।’

তিনি আরও বলেন, বাংলার ইতিহাস ও বাঙালী জাতির ইতিহাস তরুণদের গৌরবের ইতিহাস ১৯৫২ সালে তরুণদের রক্তের বিনিময়ে আমরা রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা পেয়েছি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে এই তরুণরাই পরাজিত করেছিল, সর্বশেষ ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে এই তরুণদের অবদানই ছিল মুখ্য। আমরা এই তরুণদের নিয়েই একটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মিটুল চৌধুরী, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক নাহিদা পারভীন প্রমূখ।

এ উৎসবে ২০টি স্টলে দেশের ঐতিহ্যবাহী ৫০ প্রকারের বেশি পিঠার প্রদর্শনী ও বিক্রির আয়োজন করা হয়। নকশি পিঠা, ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পুলি পিঠাসহ নানা স্বাদের পিঠার ঘ্রাণে মুখরিত ছিল পুরো প্রাঙ্গণ। স্টল গুলোতে পিঠা প্রদর্শনী ও বিক্রির প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে কলজের সকল বিভাগসহ, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের একটি স্টল, বাঙলা কলেজ সাংবাদিক সমিতি (বাকসাস), বিএনসিসি, সেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন বাঁধন, রেডক্রিসেন্ট, গার্লস গাইড, লিও ক্লাব, বাঙলা কলেজ ফিল্ম এন্ড ফটোগ্রাফি সোসাইটি এবং রোভার স্কাউটস।

শিক্ষার্থীরা নিজেরাই এসব স্টল সাজিয়ে পরিবেশন করেন পিঠার স্বাদ। শুধু পিঠার প্রদর্শনী নয়, উৎসবকে আরও রঙিন করে তোলে এক জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নাচ, গান, আবৃত্তি ও নাটক পরিবেশন করেন শিক্ষার্থীরা।

আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, “তরুণদের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া পিঠা সংস্কৃতির পুনর্জাগরণ করতেই এই উৎসব। ভবিষ্যতেও এমন আয়োজনের ধারা অব্যাহত থাকবে।”

উপস্থিত অভিভাবক এবং স্থানীয় বাসিন্দারাও উৎসবের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ ধরনের উদ্যোগ আগামী প্রজন্মের কাছে ঐতিহ্যকে তুলে ধরার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মত দেন তারা।

আরবি/এফআই

Link copied!