‘সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত হোক লেখনীর ধারা’ স্লোগানে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার উদ্যোগে লেখক সম্মেলন ও সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইবি শাখার সভাপতি খায়রুজ্জামান খান সানির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। প্রধান আলোচক হিসেবে নর্দান ইউনিভার্সিটির সাবেক উপ-উপাচার্য ও ইবির সাবেক কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, টিএসসিসি পরিচালক অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন, আইআইইআর পরিচালক অধ্যাপক ড. ইকবাল হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয়, তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ইবি শাখার উপদেষ্টা আবু তালহা আকাশ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন মাহিমা খান ও তুহিন বাবু। অনুষ্ঠানে নবীন লেখকদের হাতে সম্মাননা সনদ ও বিদায়ী লেখকদের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি আমজাদ হোসেন হৃদয় বলেন, ‘বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম একটি সৃজনশীল ও মেধাভিত্তিক সংগঠন। লেখার মাধ্যমেই দেশের আর্থ- সামাজিক সমস্যা গুলো তুলে ধরেন তরুণ লেখকরা। চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে সাংবাদিক ও লেখকদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম।’
প্রধান আলোচক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করিম বলেন,‘পবিত্র কুরআনে প্রথম যে শব্দটি নাযিল হয়েছে, সেখানে পড়ার কথা বলা হয়েছে, অথচ লেখাপড়াতে ইসলামের কথা বললে আমাদের মৌলবাদী বলা হয়। কিন্তু টেলিভিশনে যখন বিভিন্ন ধর্মের কথা বলা হয়, তখন তারা মৌলবাদী হয় না। তাদের এই ধারণার কারণ হচ্ছে, তারা ইসলাম জানে না। আমি ৬২ বছর ধরে পড়াচ্ছি। তরুণদের সঙ্গেই আমরা সার্বক্ষণিক উঠা-বসা। তার মানে কিন্তু, আমি এখনো তরুণ আছি। আমার বয়স আটাশি হতে পারে, কিন্তু আমি এখনো তরুণ। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে এই তরুণ সমাজকে। আর অন্যায়ের প্রতিবাদের শক্তিশালী মাধ্যম লেখনী দ্বারা প্রতিবাদ।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘পাঠকের মৃত্যু ঘটে কিন্তু লেখকের মৃত্যু ঘটে না। কারণ লেখার মৃত্যু ঘটে না। এই যে জ্ঞানের যে বিস্তৃতি, জ্ঞানের যে সমৃদ্ধি, যদি ইতিহাসের দিকে আমরা তাকাই, লেখনীর মাধ্যমে জ্ঞানের যাত্রা শুরু হয়েছে সারা পৃথিবীতে। আর এই জ্ঞানের যাত্রা অব্যহত আছে অনন্ত কালের দিকে অগ্রসর হচ্ছে লেখনীর মাধ্যমে। লেখার মতো গুণ আর অন্য কিছুতে নেই। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই যদি লেখালেখি করে তাহলে এই বিশ্ববিদ্যালয় মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হবে। লেখা সমাজের দর্শনকে মানুষের কাছে তুলে ধরে। লেখার মাধ্যমে সমাজকে চেনা যায়।’