বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রথমবারের মতো একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিকে স্মার্ট কৃষিতে পরিণত করা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। এই সম্মেলনের প্রধান আলোচ্য বিষয় হবে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫ টায় বাকৃবির কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অফিসের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সম্মেলনের আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আওয়াল।
আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, `আধুনিক কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও জীবাশ্মসম্পদের দক্ষ ব্যবহারের মাধ্যমে চতুর্থ কৃষি বিপ্লব বাস্তবায়ন করা` এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি `ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন এগ্রিকালচারাল মেশিনারি অ্যান্ড বায়োরিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং` শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিক-ই-রব্বানী, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জয়নাল আবেদীন, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. টুম্পা রাণী সরকারসহ আয়োজক কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
[32413]
এ বিষয়ে আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যাগ্রিকালচার মেশিনারি অ্যান্ড বায়ো রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএসএএমবিই) এবং বাকৃবির কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগ যৌথভাবে ওই সম্মেলনটি আয়োজন করছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, চীন, জাপান, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়াসহ দেশের প্রায় ২৪০ জন বিজ্ঞানী, কৃষি প্রকৌশলী, নীতিনির্ধারক, উদ্যোক্তা ও কৃষক এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন।
ছয়টি টেকনিক্যাল সেশন, একটি ব্যবসায়িক সেশন এবং দুটি পোস্টার সেশনে মোট ১৬০টি গবেষণা প্রবন্ধ ও প্লেনারি সেশনে স্মার্ট এগ্রিকালচারাল, স্মার্ট টেকনোলজি, এগ্রিকালচারাল মেকানাইজেসন ও বায়োরিসোর্স এনার্জি ( ৪ টি বিষয়ে) নিয়ে উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া একটি কৃষি যন্ত্রপাতি মেলার আয়োজন করা হবে যেখানে দেশের স্বনামধন্য আটটি প্রতিষ্ঠান (সরকারি ও বেসরকারি) তাদের কৃষিবিষয়ক যন্ত্রপাতি ও আধুনিক প্রযুক্তিগুলো প্রদর্শন করবে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলোও প্রদর্শন করা হবে।
আয়োজকরা আরও বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পরবর্তী ধাপে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও জীবাশ্ম সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সম্মেলনে যে সুপারিশ উঠবে, তা বিএসএএমবিই পরবর্তীতে বাস্তবায়ন করবে। এই সুপারিশগুলো নীতিনির্ধারকদের কাছে লিখিত আকারে পাঠানো হবে। সম্মেলনের প্রধান লক্ষ্য হলো, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষির সমস্যাগুলো এবং তাদের সমাধান কৃষির সব পর্যায়ের মানুষদের মধ্যে পৌঁছানো।