ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম

ধর্ষণের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সারাদেশে ঘটে চলে নারীর ওপর ধর্ষণ, সহিংসতা ও নিপীড়নের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্ত্বরে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে কর্মসূচিটি পালন করা হয়েছে। কর্মসূচিতে তারা অপরাধমূলক ঘটনার বিচারের পাশাপাশি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি করেছেন।


এ সময় আন্দোলনকারীরা ‍‍`ব্যবস্থা নে হারামজাদা নইলে সংস্কার চিবিয়ে খাব‍‍`, ‍‍`ইন্টেরিম বিচার চাই‍‍`, ‍‍`নারীর নয়, সমাজের পোশাক বদলাও‍‍`, ‍‍`উদ্ভট জাহাঙ্গীরের পিঠে চলছে স্বদেশ‍‍`, ‍‍`ধর্ষকের নাম-ধাম প্রকাশ কর, লজ্জা দাও‍‍`, ‍‍`সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষনবিরোধী সেল গঠন কর‍‍` ‍‍`ধর্ষকের জামিন কেন?‍‍` প্রভৃতি প্লাকার্ড প্রদর্শন করেন।


তাদের সাতটি দাবি হলো- সকল ধর্ষণ, হেনস্তা ও শারিরীক লাঞ্ছনার বিচার; নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীরের জবাবদিহি, জাহাঙ্গীরের পদত্যাগ, ধর্ষন আইনে ধর্ষকের জামিন বাতিল, নারীর সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি করা।


কর্মসূচিতে ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোনালিসা মুজিব মিম বলেন, দেশের ধর্ষনের ঘটনা আগে ঘটেনি এমন নয়। সাম্প্রতিক সময়ে ধর্ষণের পরিমান ব্যপকহারে বেড়েছে। আমার কাছে এর প্রধান কারণ মনে হয় ধর্ষকের বিচার না হওয়া। যদি প্রকাশ্যে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করা যেত তাহলে প্রতিটা ধর্ষক এই অপরাধ করার আগে পরিনতি চিন্তা করত।


ফলিত গনিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সৈমিত্র কুমার দাস বলেন, একটা মা, একজন মানুষকে যখন ধর্ষন করা হয় তখন অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে। তবে, আমাদের দেশের সরকার বা প্রশাসন এ বিষয়ে আগ্রহী না। গত কয়েক বছরে দেশে প্রায় ১৭ হাজার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর ভেতর মাত্র ২ শত ঘটনার বিচার হয়েছে। এর জন্য আমাদের কথা বলতে হবে। আমরা কথা বললেই এই ঘটনার সমাপ্তি হবে।


কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রাকিব হোসেন বলেন, একটা সময় ছিল কোনো ধর্ষনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বলা যেত এটা ছাত্রলীগ করেছে। আমরা তো সে আমল পার করে এসেছি। এখন এগুলো কারা করছে। আমরা দেখছি সিনেমা, বিজ্ঞাপনসহ এমনকি পাঠ্যবইয়ে নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব কার্যক্রম সাংস্কৃতিকভাবে ধর্ষণের ঘটনা বাড়িয়ে তুলছে। ঘৃণ্য এ অপরাধের বিরুদ্ধে আমাদের শুধু প্রতিবাদ নয় পাশাপাশি প্রতিরোধও গড়ে তুলতে হবে এবং এই সাংস্কৃতিক আচরণ থেকে বের হতে হবে।


সমাবেশে সঞ্চালনা করেন অর্থনীতি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইমন এইচ। এ সময় কর্মসূচিতে বিভিন্ন বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। 

আবু/এস

Link copied!