গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের করা হচ্ছিল র্যাগিং। বিষয়টি প্রক্টরসহ সংশ্লিষ্টদের ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে খবর দেয়া হয় উপাচার্যকে। তিনি এসে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করলেন।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি)। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতের ঘটনা।
জানা গেছে, যাদের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে, তারা ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২তম ব্যাচের কয়েকজন শিক্ষার্থী ৮৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ডাইনিংয়ে নিয়ে র্যাগিং শুরু করেন।
এ সময় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেকৃবির কয়েকজন সদস্যকে খবর দেন।
তারা বিষয়টি নিয়ে প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর ও ছাত্র পরামর্শককে একাধিকবার ফোন করলেও কেউ সাড়া দেননি। পরে উপাচার্য ড. আব্দুল লতিফকে ফোন করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবুল বাশারকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শেকৃবি শাখার আহ্বায়ক মো. আসাদুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে, নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রগ্রামে না গেলে শিক্ষার্থীদের র্যাগিংয়ের শিকার এবং সিট বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ২৩ ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থী এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। শুক্রবার রাত ৪টা পর্যন্ত এমন মিটিং চলেছে।’
‘ঘটনা জানতে পেরে আমরা প্রক্টর, প্রভোস্ট ও ছাত্র পরামর্শকদের কল করি। কিন্তু কেউ ফোন ধরেননি। বাধ্য হয়ে উপাচার্যকে ফোন দিই।’
তবে ছাত্রদল বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেন শেকৃবি ছাত্রদল সভাপতি আহমেদুল কবির তাপস।
তিনি বলেন, ‘যদি কোনো হেনস্তার ঘটনা ঘটে থাকে তবে অবশ্যই অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ছাত্রদলের নাম জড়িয়ে যেসব কথা বিভিন্ন জায়গায় প্রচারিত হচ্ছে; যার কোনোটাই সত্য না।ছাত্রদলের কেউ এতে জড়িত ছিল না। ছাত্রদল সব সময়ই এসবের বিরুদ্ধে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাকে ফোন করে র্যাগিংয়ের অভিযোগ জানায়। সঙ্গে সঙ্গে আমি ট্রেজারারকে জানিয়ে দ্রুত বের হয়ে আসি। নজরুল হলে গিয়ে দেখি, ২৩ ও ২৪ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা রাত ২টায় মিটিং করছে।’
‘আমি তাদের রুমে পাঠিয়ে দিই। এরপর নবাব সিরাজ উদ-দৌলা হলে গিয়ে দেখি, সেখানে কেউ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা কমিটি রয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র্যাগিং কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।’