জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির (জবিশিস) সাধারণ সম্পাদক ড. মো. রইছ উদ্দীনকে নিয়ে বুধবার (৫ মার্চ) অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত নিউজকে বিভ্রান্তকর ও বানোয়াট বলে অভিযোগ করেছে জবিশিস। এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত এক সভায় এই নিন্দা ও উদ্বেগ জানানো হয়।
অধ্যাপক ড.মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয়েছে, গতকাল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মিল্টন কুমার বিশ্বাসকে কেন্দ্র করে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনকে জড়িয়ে যে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে, তার সঙ্গে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের নূন্যতম সম্পর্কও নেই ।
গতকাল ৫ মার্চ বিকেল আনুমানিক ৩:৪৫ মিনিটে অধ্যাপক মিল্টন কুমার বিশ্বাস একটি আবেদনপত্র নিয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বিভাগীয় কার্যালয়ে আসেন। এ সময় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন তার বিভাগের ইফতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য বিভাগে অবস্থান করছিলেন। অধ্যাপক মিল্টন কুমার যখন চেয়ারম্যানের কক্ষে আবেদন জমা দিতে যান, তখন বিভাগের অন্যান্য শিক্ষকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার নামে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের জন্য সহযোগিতার আবেদন করেন।
এ সময় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন প্রফেসর মিল্টন বিশ্বাসকে শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে তার আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন। অধ্যাপক মিল্টন কুমার বিশ্বাস আনুমানিক এক মিনিট সেখানে অবস্থান করার পর কক্ষ ত্যাগ করেন।
আরো বলা হয়, এ ঘটনায় শিক্ষার্থী আবু বকর ও সাংবাদিক সুজাউদ্দিন সুজাকে জড়িয়ে যে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং কোনোভাবেই শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের সাথে সংশ্লিষ্ট নয়।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির অন্যান্যরা বলেন, এ ধরনের অপপ্রচার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীনের মানহানি ঘটানোর একটি অপচেষ্টা। এ অপপ্রচারের পেছনে কোনো কুচক্রী মহলের হীন ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এ ধরনের অপবাদ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।