নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত ও মাগুরায় ৮ বছরের শিশু ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্তের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, ইয়াশিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রাব্বানী; ইসমাইল হোসেন রাহাত, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ, সায়েম আহমেদ ছাড়াও অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষার্থীদের হাতে আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকের ঠাঁই নাই; ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই; মাগুরায় ধর্ষণে অভিযুক্ত নরপশুদের বিচার চাউ; ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড দেওয়া হোক; আশ্বাস নয়, আইনের বাস্তবায়ন চাই; We Are Not Living In A Dead Poet`s Society ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
বক্তারা বলেন, দৃষ্টান্তমূলক শাঅনেক সময় ধর্ষণ এমন একটি বিষয় যেখানে অনেক সময় স্তি নিশ্চিত না করলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও ঘটতে থাকবে। শুধু মাগুরায় নয়, ৫ ই আগস্টের পর থেকে সারা দেশেই ধর্ষণের ঘটনা আশংকাজনক হারে বেড়েছে। আমরা দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ন্যায়বিচার চাই। ধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া প্রয়োজন। আমরা চাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিক এবং ধর্ষকদের প্রকাশ্যে কঠোর শাস্তি দিক। তাহলে আর কেউ ধর্ষণের সাহস পাবে না। একজনকেও যদি প্রকাশ্যে শাস্তি দেওয়া যায় তাহলে বাকিরা এমনিতেও ভয়ে শুধরে যাবে।
সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, একটি সংকটকালীন সময়ে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। আমাদের বোন আছিয়া লাইফ সাপোর্টে রয়েছে, আমরা জানিনা সে আবার আমাদের মাঝে ফিরবে কিনা। ধর্ষণ এমন একটি ঘটনা যেখানে অনেক সময় এই ঘটনাটি ঠিকমতো কেস ফাইল করা হয় না। অনেক নারী হেনস্থার শিকার হলেও লোকলজ্জার ভয়ে বা সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় বিষয়টি চাপা দিয়ে রাখেন, অভিযোগ দায়ের করতে চাননা। আমরা আজকে এখানে মানববন্ধন করছি, এরপর বিক্ষোভ সমাবেশে যাব। তাতেও যদি আমার বোনদের সুরক্ষা নিশ্চিত না হয় তাহলে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।
সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, বিভিন্ন সময় নারীদের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিং সহ বিভিন্ন হয়রানির ঘটনা ঘটছে। জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের বোনেরা সামনের সারিতে থেকে আমাদের সাহস যুগিয়েছে, অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তাদের অবদানের কারণেই আমরা আজকে এই জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি। রাষ্ট্র যদি তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারে তাহলে জুলাই অভ্যুত্থানের যে স্পিরিট তা বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সরকারের প্রতি আহবান থাকবে, প্রয়োজনে উপদেষ্টা মন্ত্রী সচিব বা অন্যান্যদের নিরাপত্তা না দিয়ে শুধু মেয়েদের নিরাপত্তা দিয়ে তাদের স্বাধীনতা রক্ষা করবে। মাগুরায় আছিয়া সহ সারাদেশে যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে আমরা দ্রুত সেসব ঘটনার বিচার চাই।