মাহে রমজান উপলক্ষে ইসলামী ছাত্রশিবির, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ধারাবাহিক ইফতার আয়োজনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সাত দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীকে ইফতার করিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (৮ মার্চ) গণ-ইফতারের ৭ম ও সর্বশেষ দিনে ইফতার উপলক্ষে আসরের নামাজের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শিক্ষার্থীদের সমাগম বাড়তে থাকে। বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা দলে দলে মসজিদে আসতে থাকেন। বিকেল থেকেই মসজিদ প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে লোকে লোকারণ্য।
এছাড়া, পবিত্র কোরআনের বার্তা শিক্ষার্থীদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে সংগঠনটি ৫০০ কপি কোরআন বিতরণ করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকৃবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আবু নাছির মো. ত্বোহা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা ভাসানী হলের শিক্ষার্থী সাকিব বলেন, `কখনো ছোলা-মুড়ি, কখনো মোরগ-পোলাও, কখনো বা ডিম-খিচুড়ি—সব মিলিয়ে ইফতারের আইটেমগুলোও ছিল উপভোগ্য। আমরা হলের প্রায় সব বন্ধুরা মিলে একসাথে ইফতার করেছি।`
এ বিষয়ে বাকৃবির হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থী জয় জানান, ‘ছাত্রশিবিরের এই উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। হলে থাকার সময় সাধারণত হলের বন্ধুদের সাথেই ইফতার করা হয়। কিন্তু এখানে বিভিন্ন হল ও অনুষদের বন্ধুদের একসঙ্গে ইফতার করার সুযোগ পাওয়া গিয়েছে, যা সত্যিই আনন্দদায়ক।’
বাকৃবি শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আবু নাছির মো. ত্বোহা বলেন, `মাহে রমজান হলো এই অঞ্চলের অন্যতম বড় সংস্কৃতি। ফ্যাসিবাদের জুলুমের শিকার হয়ে বিগত ১৬ বছর আমরা এটাকে উদযাপন করতে পারিনি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী জুলুমমুক্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্রশিবির সারাদেশেই শিক্ষার্থীবান্ধব কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আমরা বাকৃবিতে সপ্তাহব্যাপী ইফতার মাহফিল ও পবিত্র কোরআন বিতরণের আয়োজন করেছি। সকল শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত ব্যাপক সাড়া আমাদের উজ্জীবিত করেছে। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ এবং অংশগ্রহণকারী সকলকে মোবারকবাদ। তাদের কাছ থেকে আমরা পরামর্শ নিয়েছি। এই পরামর্শের আলোকে আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও জারি রাখবো ইনশাআল্লাহ।`