ঢাকা রবিবার, ০৯ মার্চ, ২০২৫

ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে শাবি শিক্ষার্থীদের আল্টিমেটাম

শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৫, ১০:৪৩ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

সারাদেশে চলমান ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও দ্রুত ধর্ষকদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।

শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটায় ক্যাম্পাসে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

হল প্রভোস্ট ফটক খোলার অনুমতি না দেওয়ায় মিছিল পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা মুজিব হলের মেয়েদের প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করতে বাধা দেন হলের নিরাপত্তাকর্মীরা। পরবর্তীতে ফটকের তালা ভেঙে মিছিলে অংশগ্রহণ করেন প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা।

মিছিল পরবর্তী বিক্ষোভটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে এক সমাবেশে মিলিত হয়।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার বলেন, ‘আমার মা-বোনদের নিরাপত্তার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার বসিয়েছি। ক্ষমতার বস্তু তারা ভোগ করে যাচ্ছে, কোন দায়িত্ব তারা পালন করছে না। আমরা শাবিপ্রবি থেকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিতে চাই, যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আছিয়ার ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে না পারে, তাহলে জাহাঙ্গীরকে কালকেই পদত্যাগ করতে হবে। যে স্ফুলিঙ্গ শাবিপ্রবিতে শুরু হয়েছে, তা পুরো বাংলাদেশে ছড়িয়ে গেছে। তাই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করাতে আমাদের ২৪ ঘণ্টাও সময় লাগবে না।’

‘সংগ্রামী ভাইয়েরা, আপনাদের নিজেদের অধিকার নিজেদের নিশ্চিত করতে হবে। এই বাংলায় যুগে যুগে ধর্ষণ হয়েছে। কোন বিচার হয় নাই।’

এদিকে মধ্যরাতে ক্যাম্পাসব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস; ‘আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাই নাই’; ‘তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া’; ‘তোমার বোন আমার বোন, আসিয়া আসিয়া’; ‘ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড, কার্যকর করতে হবে’; ‘একটা একটা ধর্ষক ধর, ধরে ধরে কবর দে’; ‘ধর্ষকদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।

ফটক না খোলার বিষয়ে বেগম সিরাজুন্নেসা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সাবিহা আফরিন বলেন, ‘রাতের আড়াইটায় মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টা ভেবে হলের গেট খুলতে নিষেধ করি। ধর্ষণের বিষয়টা জাতীয় ইস্যু। তাই মেয়েরা মিছিলটি সকালে করলেই পারতো। তাইলে তাদের প্রতিবাদটা আরও বিশাল হতে পারতো।’

‘যখন আমার কাছে গেট খোলার বিষয়ে কল আসে, তখনই কিন্তু মেয়েদের অন্য হল থেকে মেয়েরা বের হয় নাই আমি যতটুকু জানি। পরবর্তীতে মেয়েরা গেটের তালা ভেঙে বের হয়ে যায়। গেটে না বিষয়টা শুধু আমরা কনসার্ন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেই এত রাতে গেট খোলার অনুমতি দেয় নাই।’