নাম পরিবর্তনে সনদ বিড়ম্বনায় গোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম

নাম পরিবর্তনে সনদ বিড়ম্বনায় গোবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (গোবিপ্রবি) নাম পরিবর্তনের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নামে সার্টিফিকেট নিতে বিভিন্ন জটিলতা ও বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। নাম পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেট ইস্যু করতে প্রশাসনের গড়িমসি ও সিদ্ধান্তহীনতা, অনার্স ও মাস্টার্সের সার্টিফিকেট দুইটি দুই নামে দেওয়া, ইতোপূর্বে শিক্ষাজীবন শেষ করা শিক্ষার্থীদের নতুন নামে সার্টিফিকেট না দেওয়াসহ বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হয়েছে। যার কারণে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সার্টিফকেট সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে উপ-উপাচার্য বলছেন যারা আগে পাশ করে গেছেন কিন্তু সার্টিফিকেট উঠায়নি তারা পুরাতন নামেই সার্টিফিকেট পাবেন। অথচ কন্ট্রোলার দপ্তর থেকে বলা হয়েছে যারা সার্টিফিকেট উঠায়নি তারা নতুন নামে সার্টিফিকেট পাবে। 

অন্যদিকে যারা পূর্বের নামে অনার্সের সার্টিফিকেট তুলেছিলেন তাদের নতুন নামে মাস্টার্সের সার্টিফিকেট দিলেও দিচ্ছে না অনার্সের সার্টিফিকেট। এছাড়াও কোনো দপ্তরেই সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় ও একে অন্যের ওপর দায় দেওয়ার মধ্যে দিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছে শিক্ষার্থীরা।

একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাসেল রাইহান বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট কি নামে হবে এটা নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় হীনতা দেখা যায়। ফলশ্রুতিতে কাউকে পূর্বের নামে কাউকে বর্তমানে নামে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এটা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরলে সবাইকে একই নামে সার্টিফিকেট দেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বরাবর লিখিত আবেদন দেওয়া হয়। ভিসি স্যার দাবি মেনে নিবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশ দেন।’

ফার্মেসি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইনুর রহমান শাহীন বলেন, ‘অনেক জায়গায় সার্টিফিকেটর স্ক্যান কপি এবং ভার্সিটির নাম দিয়েই আবেদন করতে হয়। সেখানে দেখা যাবে সার্টিফিকেটে বশেমুরবিপ্রবি আবার অনলাইনে ভার্সিটির নাম গোবিপ্রবি।’ 

‘এসব এপ্লিকেশনে শর্টলিস্টেই করবে না। এছাড়া ভাইভা বোর্ডে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে দুই নামে দুই সার্টিফিকেট নিয়ে যেতে হবে যেটা অবশ্যই ব্যাড ইম্পাক্ট ফেলবে। সব জায়গায় একটা আইডেন্টি ক্রাইসিসে ফেলে দেবে।’

সার্টিফিকেট সমস্যার বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক গোলাম হায়দার বলেন, ‘১৩ তারিখে প্রজ্ঞাপন জারির পর থেকে নতুন নামেই দিচ্ছিলাম। আগে যেগুলো দেওয়া হইছিল সেগুলো ওই নামে থাকার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল।’ 

‘কিন্তু শিক্ষার্থীরা নতুন নামে সার্টিফিকেট পাওয়ার বিষয়ে আবেদন করার পরিপ্রেক্ষিতে আগামীকাল একাডেমিক কাউন্সিলের মিটিং আছে, সেখানে যাবে এবং যে সিদ্ধান্ত হয়ে আসবে ওইনামে সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।’

এই বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে জানান। পরবর্তীতে তার সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করে আর পাওয়া যায়নি।

আরবি/এসএমএ

Link copied!