ছাত্রলীগ আজকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে : রাবি শিবির সভাপতি

রাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: মার্চ ১৩, ২০২৫, ০৩:৪৮ পিএম

ছাত্রলীগ আজকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে : রাবি শিবির সভাপতি

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

১৬ বছর আগে ছাত্রলীগের হাতে খুন হওয়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের তৎকালীন সেক্রেটারি শরীফুজ্জামান নোমানী হত্যার প্রতিবাদ বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রশিবির। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন কাজলা মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিবির কর্মীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে শিবির নেতারা বলেন, ২০০৮ সালে আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর শরীফুজ্জামান নোমানীকে হত্যার মাধ্যমে শিবিরকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছাত্রলীগ নেতারা বর্তমানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা পদে চাকরি করছেন। তাদেরকে অতিদ্রুত চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। এবং সে সময়ে খারিজ করে দেওয়া মামলার রিভিউ না করা হলে আইন উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে। 

বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্র শিবিরের রাবি শাখার সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ ফয়সাল বাবু বলেন, ‍‍`শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের ক্যাডারেরা শিবিরের কর্মীদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। তখন সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে এবং শাহাদাৎয়ের তামান্না নিয়ে নোমানী ভাই নেতাকর্মীদের উদ্ধার করেছিল। তখন লক্ষ্য করেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাঠে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে ছাত্রলীগকে দিয়ে কীভাবে একজন শীর্ষ নেতৃত্বের হত্যা নিশ্চিত করেছিল।

এ হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বদানকারীদের পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতাসহ রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখা হয়েছিল। আমরা আজকের সমাবেশ থেকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই, হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাপু, জাকারিয়াসহ যারা বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত রয়েছে তাদেরকে অব্যাহতি দিয়ে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এ ঘটনায় সে সময়ে মামলা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন সে মামলা খারিজ করে দিয়েছিল। যদি এই মামলার রিভিউ না করা হয় তাহলে এই আইন উপদেষ্টার পদত্যাগ করতে।‍‍` 

রাবি শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‍‍`আওয়ামী সরকার ক্ষমতায় আসার পর টার্গেট করে সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছিল ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রতি। বিগত সময়ে তারা আমাদের সমর্থক, সাথী, সদস্য, কর্মী, হল শাখা সভাপতি-সেক্রেটারিসহ অনেক ভাইকে হত্যা করার পর যখন দেখেছিল কোনো কাজ হয়না, তখন তারা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের নেতৃত্বস্থানীয় নোমানি ভাইকে হত্যা করেছিল। নোমানি ভাইকে হত্যা করার পরে কি আমরা দমে গিয়েছি? না আমরা দ্বিগুন শক্তি নিয়ে এই ক্যাম্পাসের সকল শিক্ষার্থীকে ইসলামের ভালোবাসা দিয়ে আমাদের করে নিয়েছি। যেই ছাত্রলীগ আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল, সেই ছাত্রলীগ আজকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন রাবি শাখা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি নুরুজ্জামান। এ সময় বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্র শিবিরের শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। 

আরবি/আবু

Link copied!